প্রতিবেদন : আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। ৫০ লক্ষ মানুষের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। যা ০.১ শতাংশের সামান্য বেশি। তথ্য তুলে ধরে একথা জানালেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘােষ (Deputy Mayor Atin Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, ডেঙ্গি দমনে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে পুরসভার। তবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা ছাড়া ডেঙ্গির মতো একটি আন্তর্জাতিক এবং সামাজিক সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। শনিবার ডেঙ্গি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (Deputy Mayor Atin Ghosh) একথা বলেন। পৃথিবীর ১৩৮টি দেশ এখন ডেঙ্গি-প্রবণ। প্রতি বছর এইসব দেশগুলিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয় গড়ে ৩৯ কোটি মানুষ, যার ৭৫ শতাংশ বা ২৫ কোটি ৪০ লক্ষ্যই হল নীরব বা সাইলেন্ট ক্যারিয়ার। এই সাইলেন্ট ক্যারিয়াররাই এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গির ভাইরাস ছড়ায়। এদিন ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গার পরিত্যক্ত জমি এখন চিন্তা বাড়িয়েছে পুরসভার। শহরের পরিত্যক্ত জমি, অপরিচ্ছন্ন পুকুর ও নর্দমার সংখ্যা অনেক। তাই পরিত্যক্ত জমি নিয়ে রাজ্য সরকার কড়া আইন তৈরি করুক এমনই চাইছে পুরসভা। এদিন পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার না করলে খালি জমি ফেলে রাখার ক্ষেত্রে কড়া আইন প্রণয়ন করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। অতীন ঘোষ আরও বলেন, চলতি বছরের পরিসংখ্যান এখনও পর্যন্ত শহরের মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬.০৫২ জন। এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার ৮ থেকে ১৪ নম্বর বরোতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪,৬২৭ জন। তথ্য অনুযায়ী যা ৭৬.৫ শতাংশ। উত্তর কলকাতায় ১ থেকে ৭ নম্বর বরোতে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১,৩৭১ জন। যা ২২.৬ শতাংশ। ডেপুটি মেয়র আরও বলেন, উত্তর কলকাতায় ফাঁকা জমি রয়েছে ৩৮৩টি। যা মাত্র ৯.৯ শতাংশ। নির্মীয়মাণ বাড়ির সংখ্যা ১,৬৮৪টি। যা ৩৭ শতাংশ। দক্ষিণ কলকাতাতে ফাঁকা জমি ৩,০৩৮টি। নির্মীয়মাণ বাড়ি ২,৮৪৪টি। শহরে ডেঙ্গি ছাড়াও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ১১ হাজারের বেশি। তিনি কেন্দ্রের কাছে ডেঙ্গি ডেন-থ্রি চিকিৎসায় প্রোটোকল বানানোর দাবিও তুলেছেন।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের এজেন্সি-রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শত্রুঘ্ন