প্রতিবেদন : বুধবার লোকসভায় ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়, অপরূপা পোদ্দার। অন্যদিকে রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করেন জহর সরকার ও ডাঃ শান্তনু সেন।
আরও পড়ুন-ইডি তলব এড়ানোয় কেজরিকে হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত
এদিন সৌগত রায় বলেন, অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী বাজেট নিয়ে আলোচনা শোনার কোনও প্রয়োজন মনে করেন না। তাঁরা এতটাই অহংকারী। সাংসদের কথায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন ধরে মনরেগার বকেয়ার দাবিতে ধরনা করেছেন। বিজেপি সরকার বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে শেষ করে দিতে চায়। বাংলাকে ভাতে মেরে রাজ্যবাসীকে শাস্তি দিতে চায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে। সেই কারণেই আমরা বলছি এই বাজেট শুধুমাত্র ধনী সম্প্রদায়ের পক্ষে এবং গরিব বিরোধী। তাঁর সংযোজন, আমরা ধরনা দিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, তারপরেও কোনও লাভ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তিনি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেবেন। বিজেপিকে সৌগত রায়ের কটাক্ষ, তাদের বিশ্বাস আবার তারা ক্ষমতায় ফিরবে। তবে আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ২০০৪ সালে এই দলই সংসদে ইন্ডিয়া শাইনিং স্লোগান দিয়েছিল। বাজপেয়ী আগেই ভোট করিয়েছিলেন। যদিও সেই ভোটে বিজেপি হেরে যায়। সৌগত রায়ের মন্তব্য, এখন থেকেই আগামী ভোটে জিতব, এই ঘোষণা করে দেওয়া সততার পরিচয় নয়। সৌগত রায় আরও বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংস্কার করা হয়েছিল যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। কর কাঠামোর সংস্কার করা হয়েছিল ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ এর মধ্যে। বর্তমানে এমন কেউ নেই, যিনি আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের অর্থনীতির পরিকল্পনা করতে পারবেন। মনমোহন সিংয়ের সমকক্ষ কেউ নেই।
আরও পড়ুন-মোদির ভাষণের প্রতিবাদে ওয়াকআউট
অন্যদিকে রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে জহর সরকার বলেন, গত ৬৭ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার যে অঙ্কের ঋণ নিয়েছে, গত ১০ বছরে এই সরকার তার থেকে তিনগুণ বেশি টাকা ঋণ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। তার একটাই কারণ, বাংলার মানুষ মোদি-শাহকে প্রত্যাখান করেছেন। বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও সরব হন তিনি। বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে শান্তনু সেন বলেন, আমি অবাক হয়ে শুনলাম সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রচার। ২০১৪ তে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আচ্ছে দিন আসতে চলেছে এবং সবকা সাথ সবকা বিকাশ সরকারের মূল লক্ষ্য। যদিও বাজেট দেখে মনে হচ্ছে, তা শুধুমাত্র দেশের কর্পোরেটদের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। বঞ্চিত আমজনতা।