কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে বসে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই আটকে রাখা হয়েছে সমীক্ষার কাজে আসা আইপ্যাক কর্মীদের। গুজরাত মডেলে ত্রিপুরা শাসন করছে বিজেপি। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে। ২০২২-এর ভোটে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। আগরতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-১৫ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ল কোভিড-বিধিনিষেধের মেয়াদ: বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বুধবার আগরতলায় এসে ত্রিপুরা প্রশাসনের হাতে আটক আইপ্যাকের ২৩ কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁদের বাধা পেতে হয়। এদিন তাঁদের সঙ্গে দিল্লি থেকে এসে যোগ দেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন ও লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ডেরেক বলেন, কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আইপ্যাকের কর্মীরা কাজে এসেছিলেন। তরুণ-তরুণীর দল। পেশার কারণে এসেছিলেন। তাঁদের বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে। এটা গণতন্ত্র?
আরও পড়ুন-ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি, ডেঙ্গু নিকেশে বিশেষ উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার
দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে আটকের ঘটনা ঘটেছে। আসলে ত্রিপুরায় জুলুমবাজি চলছে। ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছে বিজেপি। আমরা বিজেপি সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নাম নয়, ত্রিপুরার মানুষ কাজ চাইছেন। আর কাজ করেনি বলেই এবার ওদের চলে যেতে হবে। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপির এই অত্যাচার অনেক দিন সয়েছে। এবার তারা বদল চাইছে। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে, ত্রিপুরায় কেন ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে? এখানে খেলা কোথায় শুরু হল? ব্রাত্য বসু জবাবে বলেন, দল তৈরি, মাঠ তৈরি, রেফারি তৈরি, দর্শকরাও প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু বল গড়ার। ত্রিপুরার মাঠে ‘খেলা হবে।’