আঁধারিয়ায় পড়শি রাজ্যের ভক্তরাও

Must read

মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম : সুবর্ণরেখার নদীগর্ভ থেকে পাওয়া পিতলের প্রতিমায় শ্মশানকালীর পুজো হচ্ছে ৪০ বছর ধরে। পাশে রয়েছে ওড়িশার এক ভক্তের দেওয়া ১৩ ফুটের কষ্টিপাথরের শ্মশানকালীর মূর্তি। এখানে বলি দেওয়া পাঁঠার মাংস ও মদ দিয়ে দেবীর বিশেষ ভোগ তৈরি হয়। ঝাড়গ্রামের বেলেবেড়ার আঁধারিয়া গ্রামের বৈচিত্র্যপূর্ণ এই পুজো এখন পারিবারিক থেকে সার্বজনীন। সীমান্ত বাংলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকেও ভক্তেরা আসেন।

আরও পড়ুন-সন্ত্রাসের মধ্যেও লড়াই জারি থাকবে ত্রিপুরায় : সুবল

দু বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এবার পুজো ৪১ বছরে। আঁধারিয়া গ্রামের পানিগ্রাহী পরিবারের প্রবীণ কর্তা বিনোদ পানিগ্রাহী এবং তাঁর দুই ছেলে শিবশঙ্কর ও কালীশঙ্কর পুজোপাঠ করেন।

মন্দিরের পুরোহিত বিনোদ পানিগ্রাহী বলেন, ‘বারো বছর বয়সে সুবর্ণরেখা নদীতে স্নান করতে গিয়ে পিতলের কালীমূর্তি পাই। স্বপ্নাদেশ পেয়ে মাটির চালাঘরে পুজো শুরু হয়। এখন ভক্তদের দানে পাকা মন্দির হয়েছে। পুজোর দিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে সংকীর্তন করে ঘট আনা হয়। তা দেখতেই দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। বলির মাংস দেওয়া ভোগ দিয়ে পঙ্‌ক্তিভোজন করানো হয় পরের দিন। হয় খিচুড়িভোগও। যাত্রা-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

Latest article