চৌবাচ্চায় হরেকরকম মাছচাষ করে স্বনির্ভরতার দিশা

তুলসী বলেন, মৎস্য দফতরের উদ্যোগে একশো দিনের কাজের কনভার্জেন্স প্রকল্প থেকে এই ইটের চৌবাচ্চা বানানো হয়েচ্ছে ।

Must read

সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : উদ্যম আর ইচ্ছে থাকলে বড় পুকুর বা ভেড়ি নয়, ছোট চৌবাচ্চায় মাছচাষ করে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মাধবপুর গ্রামের তুলসী দাস। বছর ৫৮-র এই নন্দীগ্রামবাসী, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় স্বনির্ভরতার দিকটি তুলে ধরতে অভিনব এই কর্মসূচি নিয়েছেন। তাঁর কাজ উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। বাড়ির উঠোনে তুলসী অল্প জায়গায় স্বল্প ব্যয়ে চৌবাচ্চায় হরেক মাছের চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে চাঙ্গা করছে পুরসভা

কই, শিঙি, মাগুরের পাশাপাশি পাবদা, জাপানিপুঁটি, পেংবা, সিলভার কার্পেরও চাষ করছেন। মাছের খাবার জন্য রেখেছেন অ্যাজোলা। সবুজ শ্যাওলা নিয়ন্ত্রণের জন্য সিলভার কার্প মাছও ছেড়েছেন। কই, শিঙি প্রভৃতি মাছের কৃত্রিম প্রজনন করে চারা নিজেই তৈরি করে নেন। ব্লক মৎস্য বিভাগের সঙ্গে মাছচাষে স্বাবলম্বী হতে বেকার যুবকদেরও উৎসাহিত করছেন।

আরও পড়ুন-সাইক্লোনে মৃত ৩৫০

তুলসী বলেন, মৎস্য দফতরের উদ্যোগে একশো দিনের কাজের কনভার্জেন্স প্রকল্প থেকে এই ইটের চৌবাচ্চা বানানো হয়েচ্ছে । ব্লক মৎস্য বিভাগ শিঙি মাছের চারা দিয়েছে। দুশো টাকার ওপরে যেকোনো মাছ বিক্রি হলে ৫০ শতাংশ লাভ পাওয়া যায়। দেশি খাবার মাছ ও রঙিন মাছ পাশাপাশি চাষ করলে লাভ বেশি পাওয়া যাবে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমনকুমার সাহু বলেন, আমরা দফতরগতভাবে প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট ছোট দল গঠন করে এই সমস্ত মাছচাষে উৎসাহ দিচ্ছি।

Latest article