সংবাদদাতা, বোলপুর : উপাচার্যের প্রতিশোধমূলক আচরণের কারণে হিগস বোসন-কণা আবিষ্কারের দশম বর্ষপূর্তি পালন করতে পারল না বিশ্বভারতী। উপাচার্যের তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মানস মাইতিকে। তিনি এই আবিষ্কার নিয়ে গবেষণায় যুক্ত। অথচ সাসপেনশনের গেরোয় গবেষণাগারেই ঢুকতে পারছেন না। এ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে উপাচার্য।
আরও পড়ুন-জোর করে মোদির নাম, বিজেপি বিধায়কের মিথ্যাচারের রাজনীতি
প্রশ্ন উঠেছে, গবেষককে আটকে আখেরে কার ক্ষতি করছেন উপাচার্য? মাসদুয়েক নিজস্ব বিভাগে যেতে না পারলেও হিগস বোসন-কণা আবিষ্কারের দশ বছর পূর্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস গবেষকের। খেদের সঙ্গে বললেন, ‘‘কোনও কিছু আবিষ্কার হলেই, সেটা শেষ হয়ে যায় না। বিশ্লেষণ করে সেটা দেখা হয়। একটা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন। সেই টিমওয়ার্কে আছে বিশ্বভারতী। এটা গর্বের বিষয়। কিন্তু বিশ্বভারতীতে কাজের থেকে সাসপেনশনের গুরুত্ব বা প্রাধান্য বেশি।’’ সিইআরএন একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা। যেখানে গবেষণালব্ধ ফল কোনও ব্যক্তিগত নামে না হয়ে সামগ্রিক আকারে প্রকাশিত হয়। তবুও ব্যক্তিগত অবদান গুরুত্বপূর্ণ। হিগস বোসন-কণা আবিষ্কার গবেষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এটা গর্বের যে বিশ্বভারতী বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এই গবেষণায় শরিক। যদিও এ ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই, এটাই আক্ষেপের।