তালিকা তৈরি করে হকারদের পুনর্বাসন দেবে জেলা প্রশাসন, কাজে নেমে পড়ল পুরসভা

পুর এলাকায় যাঁদের বাড়ি, তাঁদের অ্যাডভান্টেজ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য এক মাস ধরে সমীক্ষা চালাবে পুরসভা।

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কৃষ্ণনগরেও হকারদের তালিকা তৈরির করার পর তাঁদের পুনর্বাসনের কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন। পুরসভাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে হকারদের নিয়ে পুরসভার সমীক্ষায় জোর দেওয়া হবে। খারাপ আর্থিক হালে থাকা কোনও হকার যাতে এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত না হন সেইমতো এগোনো হবে। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সব হকারকেই এই সমীক্ষায় যুক্ত করা হবে। প্রশাসনের তরফে পুরসভাকে বলা হয়েছে প্রত্যেক হকারের মোবাইল ফোনের সঙ্গে আধার কার্ডে লিঙ্ক করে জিও ট্যাগিং করতে। ফলে প্রকৃত হকারকে বেছে নেওয়ার পর তাঁদের ন্যূনতম যেটুকু জায়গা দরকার, সেরকম ব্যবস্থা বা পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন। তাই হকার-সমীক্ষায় ঠিক কী তথ্য উঠে আসে, সেটা খতিয়ে দেখতে চায় প্রশাসন।

আরও পড়ুন-সৌন্দর্য ও লোকশিক্ষায় সাজছে সিউড়ি পুরসভা

পুর এলাকায় যাঁদের বাড়ি, তাঁদের অ্যাডভান্টেজ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য এক মাস ধরে সমীক্ষা চালাবে পুরসভা। পুনর্বাসনের জন্য হকার জোন তৈরির বিষয়টিও মাথায় আছে। আসলে টাউন প্ল্যানিং ভেন্ডিং কমিটির মাধ্যমে শহরকে সুন্দর করে সাজাতে হকার, দোকানপাট, পার্কিং ইত্যাদি বিষয়গুলি দায়িত্ব দেওয়া আছে পুরসভাকে। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগরের ফলপট্টি, ১২-১৩টি ফুটপাথে প্রায় ১৬০০-র বেশি হকার আছেন। এর মধ্যে কিছু ফুটপাথে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে হকারদের কাছ থেকে। পাশাপাশি পুর এলাকায় দ্বিতল বাজার গড়ে সেখানেও হাজারের বেশি হকারকে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরীর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো জেলা প্রশাসনের গাইড মেনে পুরসভাই হকার পুনর্বাসনের কাজ করবে।

Latest article