রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের পাঠানো চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। সেইসঙ্গে ওই চিঠি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের চিঠির কোনও বৈধতা আছে কিনা, সে ব্যাপারে উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বশাসনের কথা উল্লেখ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister Bratya Basu) বলেন, খুব অবাঞ্ছিত কিছু না ঘটলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজে উচ্চ শিক্ষা দফতর হস্তক্ষেপ করে না। এছাড়া, উপাচার্যদেরও মর্যাদা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তুলনা টেনে ব্রাত্য বলেন, ভাসা ভাসা মন্তব্য না করে, রাজ্যপাল যা চান, তা স্পষ্ট করে বলুন।
আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের গবেষণামুখী করার উদ্যোগ, চালু হচ্ছে ‘সামার প্রজেক্ট’
গতকাল উপাচার্যদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose) লিখেছিলেন, এখন থেকে যে কোনও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজভবনের আগাম অনুমোদন নিতে হবে।
রাজ্যপাল ওই চিঠিতে আরও লিখেছেন, উপাচার্যরা চাইলে, তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে তিনিও উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন। এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে কী কী কাজ হল, তাও সপ্তাহের শেষে ইমেল করে রাজ্যপালকে জানানোর নির্দেশ দেন সিভি আনন্দ বোস।