প্রতিবেদন : ঝুলি থেকে বেরিয়ে এল বিড়াল। বাংলার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল নীতি বহির্ভূত কাজ করতে অস্বীকার করায় চরম বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করলেন শনিবার রাতে। বলা উচিত তাঁকে সরে যেতে বাধ্য করল কমিশন বা বকলমে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। শিয়রে লোকসভা ভোট। প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে। এর মাঝে অরুণ গোয়েল নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে পদত্যাগ করায় বিতর্ক চরমে। রাষ্ট্রপতি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নেন সময় নষ্ট না করে।
আরও পড়ুন-বিধায়কের পর দলত্যাগ সাংসদেরও, বিজেপিতে বিরাট ভাঙন জঙ্গলমহলে
আসলে সর্ষের ভিতর ভূত লুকিয়ে রয়েছে কমিশনেই। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার যে আসলে মোদি-শাহের বশংবদ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি কমিশনের টিম বাংলা ঘুরে গিয়েছিল। সেই টিমে ছিলেন অরুণ গোয়েল। কমিশন সূত্রে খবর, ফিরে গিয়ে রাজীব কুমারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে বাংলার ভোটের ‘দফা’ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে। বাংলায় বেশি দফায় ভোট করা এবং প্রয়োজন অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজীব কুমার বিজেপির কথা শুনে যেভাবে চাইছিলেন, অরুণ তার বিরোধিতা করেন। চাপ তৈরি করা হয় অরুণের উপর। কমিশনের তিন সদস্যের অন্যতম অনুপ পাণ্ডে ফেব্রুয়ারিতেই অবসর নেন। অরুণ পদত্যাগ করায় কমিশনে এখন রাজীব কুমার ছাড়া অন্য কেউ রইলেন না। সুবিধা হল বিজেপির। নতুন দুই বশংবদ কমিশনার বসাতে আর সমস্যা থাকবে না। বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত যে কতটা গভীরে, তা এই ঘটনায় প্রমাণিত। ইডি-সিবিআইয়ের মতো নির্বাচন কমিশনকেও ন্যক্কারজনকভাবে কাজে লাগাতে শুরু করেছে বিজেপি।