বৃহস্পতিবার ধনধান্যে স্টেডিয়ামে টেলিভিশন শিল্পের শিল্পীদের সম্মান জানাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল টেলি একাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলা টেলিভিশন জগতের কৃতীদের স্বীকৃতি দেওয়ার এই আয়োজন রাজ্যের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ধারায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে। বেকারত্ব ঘোচাতে এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই যারা কর্মসংস্থান তৈরি করেন এবং কর্ম প্লাবন আনেন তাদেরকেও সম্মান করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেই কথাই আরো একবার স্পষ্ট হলো তার গলায়।
আরও পড়ুন-অপরিকল্পিত, জোরপূর্বক অভিযান, নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
বক্তব্যের শুরুতেই মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে প্রণাম জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বয়সে এসেও তাদের কাজ করার অদম্য ইচ্ছে শক্তিকে কুর্নিশ জানান তিনি। বলেন, ”মাধবী দি ও সাবিত্রী দিকে প্রণাম জানাই। এই বয়সে এসে তাঁরা যেভাবে অভিনয়
করছেন তার কোনও তুলনা হয় না।” এদিন টেলি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এই বিনোদন জগত কর্ম প্লাবন সৃষ্টি করে। এটা একটা বড় কাজ। এনারা দিনরাত এক করে কাজ করেন, এই শিল্পীদের জীবনে কোনও ছুটি নেই, উৎসব বলে কিছু নেই। এই কাজটাই তাদের উৎসব। এমনকি পুজোর সময়ও বিভিন্ন চ্যানেলে গিয়ে তাদের প্রোগ্রাম করতে হয়।”
আরও পড়ুন-দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৪
তিনি মনে করেন, ”টেলিভিশনের সব থেকে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা, সুশিক্ষা। নতুন প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস জানুক। আমাদের মাটি, সোনার চেয়ে খাঁটি। এই মাটি নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে। আমি সেই মাটিকে চেনানোর জন্য সামাজিক চেতনার কথা বলছি। নতুনরা আসছেন, তাদের এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যারা বাড়িতে বসে টিভি দেখেন তাদের এটাই সংসার, তাদের সময় কাটে সিরিয়াল দেখে। আমি সময় পেলে দেখি। পরের সিন কি হবে বলতেও পারি। কিন্তু নতুন প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস জানছে না। আমি বলছি না ইতিহাস দেখাতে হবে তবে মাঝে মধ্যে সামাজিক চেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। মাটিটাকে চেনাবার জন্য সামাজিক চেতনার দরকার।”
নিজের প্রসঙ্গ তুলেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এখন অনেক সিরিয়াল হচ্ছে নতুন চিন্তাধারার, যা আগে মানুষ মেনে নিতে পারত না কিন্তু এখন মেনে নিচ্ছে। সবাই যেন সবার মত যেন ভালো করে বাঁচতে পারে সে দিকটা আমাদের সকলকে দেখতে হবে। এটা একটা পরিবার।” উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ টেলি একাডেমি পুরস্কার রাজ্য সরকারের একটি উদ্যোগ যেখানে অভিনেতা, প্রযোজক এবং টেলি দুনিয়ার সাথে যুক্ত প্রযুক্তিবিদদের সারা বছর তাদের অভিনয়ের জন্য সম্মানিত করা হয়।

