সংবাদদাতা, হাবড়া : বুধবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি, আসবাব, পোশাকআশাক থেকে টাকাপয়সা, গুরুত্বপূর্ণ নথি সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নিঃস্ব, অসহায় বস্তিবাসীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর রেলের উদাসীনতা ও গরিব মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে না আসায় তিরস্কার করে বলেন, ‘‘দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের কর্তব্য। কিন্তু রেলের বিমাতৃসুলভ আচরণে আমরা হতবাক। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খবর পেয়েই নির্দেশ দিয়েছেন অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে।’’
আরও পড়ুন-আবাস-সমীক্ষায় বাধা বিজেপির
তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে হাবড়া মডেল হাইস্কুলে ত্রাণশিবির খুলেছে হাবড়া পুরসভা। সেখানে চারবেলা খাওয়া, পোশাক, কম্বল দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না ওঁদের নতুন বাড়িঘর বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওঁরা স্কুলেই থাকবেন। সকলের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা, শিশুদেরও খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে। সব কিছু পুড়ে যাওয়ায় ওঁদের পাসবই, রেশনকার্ড, স্বাস্থ্যসাথী-কার্ড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি ফের তৈরি করতে হবে। বিড়িও, পুলিশ, পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে দিতে। মুখ্যমন্ত্রী-সহ গোটা তৃণমূল পরিবার অসহায় মানুষগুলোর সঙ্গে আছে।’’ বনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা, আইসি-সহ পুরপিতা, প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরা। প্রসঙ্গত, বুধবার হাবড়া স্টেশন সংলগ্ন রেলবস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকলেরই ঘরে থাকা টাকাপয়সা, আসবাবপত্র-সহ, দরকারি নথিপত্র সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে সরকারের কাছে বস্তিবাসীরা আবেদন জানান, তাঁদের স্থায়ী বসবাসের জায়গা করে দিলে তাঁরা আর রেলবস্তিতে থাকবেন না। সেইমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য।