প্রতিবেদন : সুন্দরবন নিয়ে মাস্টার প্ল্যান (Master Plan- Sundarban) তৈরি করে তা নীতি আয়োগে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে সুন্দরবনের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। বুধবার বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যে হাতির হানায় মৃত্যু হলে সেই পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে বনকর্মীর চাকরি দিতে হবে। এদিন রাজভবনে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের অনুষ্ঠান শেষে বিধানসভায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সে-সময় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল। হাতির হানায় মৃত্যু নিয়ে নিয়ে প্রশ্নোত্তরের সময় মুখ্যমন্ত্রী অল্প সময়ের জন্য তাঁর বক্তব্য রাখেন৷ শুধু এই বিষয়েই নয়, রাজ্যের অন্যান্য বিষয়েও তিনি বক্তব্য রেখেছেন। বাংলার এক হাজার গ্রামে ইলেকট্রিক চুল্লি বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই কাজে দলের সাংসদ-বিধায়কদের সহায়তা করতে বলেন। এ ছাড়াও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্য সড়কগুলি সারাইয়ের সময় তার আশপাশের রাস্তাগুলিও যেন মেরামত করা হয়। তবে এদিন সব থেকে বেশি সময় তিনি বলেন, হাতি-বাঘের হানায় মৃত্যু নিয়ে। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আরও বেশি করে বনকর্মী নিয়োগের জন্য। আর এই কাজে যেন স্থানীয় যুবকদেরই নেওয়া হয়। কারণ, তাঁরা জঙ্গলকে-বন্যপ্রাণকে সবথেকে ভাল চেনেন। আগামী মঙ্গলবার সুন্দরবন যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি নিজেই জানিয়েছেন, হিঙ্গলগঞ্জে বনবিবির মন্দিরে পুজো দেবেন। মাস্টার প্ল্যান অনুমোদিত হয়ে এলে নতুন রূপে সেজে উঠবে সুন্দরবন (Master Plan- Sundarban)।