সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : গত দু বছর শিকার-উৎসবে বন্যপ্রাণীর রক্ত ঝরেনি অযোধ্যা পাহাড়ে। এবারও যাতে প্রাণিহত্যা না হয়, সেজন্য প্রচারে নামল বন দফতর। গ্রামে গ্রামে উৎসবে শামিল হতে বলা হচ্ছে বাসিন্দাদের। তবে সেখানে জীবহত্যা হবে না। উল্টে স্থানীয়দের বলা হচ্ছে, বহিরাগত শিকারিরা অস্ত্রহাতে পাহাড়ে এলে বাধা দিতে। অযোধ্যা পাহাড়ের ওপর উৎসবের দিন থাকছে দিনভর অনুষ্ঠান, ঢালাও খাওয়াদাওয়া।
আরও পড়ুন-ইডেনে প্লে-অফ প্রস্তুতি দেখে গেলেন সৌরভ
প্রতি বছর বুদ্ধপূর্ণিমার দিন অযোধ্যা পাহাড়ে শিকার উৎসবে মাততেন সাঁওতালরা। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অসম থেকে শিকারিরা আসতেন। নির্বিচার পশুহত্যা হত ২৪ ঘণ্টা ধরে। কয়েক বছর ধরেই এই রক্তঝরানো উৎসব বন্ধ করতে তৎপর বন দফতর। পাহাড়ে ওঠার সব ক’টি রাস্তায় নজরদারি থাকে পুলিশ ও বনকর্মীদের। অস্ত্র ও শিকারের অন্য উপকরণ (জাল ইত্যাদি) দেখলেই বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি পাহাড়চুড়োয় আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গত দু বছর করোনার কারণে বহিরাগত শিকারিরা আসতে পারেনি। এবার যাতে স্থানীয় মানুষই শিকার বন্ধ করেন, সেজন্য প্রচার চলছে। পুরুলিয়ার ডিএফও দেবাশিস শর্মা জানিয়েছেন, উৎসবের আয়োজনে খামতি থাকছে না। কিন্তু শিকার করতে দেওয়া হবে না। পাহাড় জুড়ে সজাগ প্রহরায় থাকবেন পুলিশ ও বনকর্মীরা। জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী নমিতা সিং মুড়ার বাড়ি অযোধ্যা পাহাড়েই। বলেন, এখানকার মানুষ শিকার চান না।