মুম্বই, ১২ এপ্রিল : অবশেষে জয়। আর সেটা পঞ্চম ম্যাচে এসে। আইপিএলে সিএসকের এটা ছিল ২০০তম ম্যাচ। প্রথম জয়ে বিরাট কোনও অবদান অবশ্য থাকল না প্রাক্তন ও বর্তমান অধিনায়কের। ধোনি এবং জাদেজা মাঠে থাকলেও রবীন উথাপ্পা আর শিবম দুবের লম্বা পার্টনারশিপ জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। বাকিটা মহেশ থিকসানার ম্যাজিক। চার ওভারে ৩৩ রানে ৪ উইকেট। তাঁর স্পিন সামলাতে পারেনি আরসিবি। ১৯৩/৯ করে তারা হারল ২৩ রানে। মইন আলিকে প্রথম ওভারে বল দিয়ে জাদেজা আরসিবি ইনিংসের শুরুতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছু আছে। আর সেটা যে আছে, তা বোঝা গেল তৃতীয় ওভারে। যখন মহেশ থিকসানাকে ওড়াতে গিয়ে জর্ডনের হাতে নিজেকে তুলে দিলেন ডুপ্লেসি (৮)।
আরও পড়ুন-হোমিওপ্যাথি একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা
আরসিবি তখন ১৪। এই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরও বড় ধাক্কা পঞ্চম ওভারে। এবার কিং কোহলির (১) পালা। তিনি ওড়াতে গেলেন মুকেশ চৌধুরিকে। কিন্তু বল বাউন্ডারি পার করেনি। চেন্নাইয়ের ২১৬/৪ তাড়া করার ব্যাপার ছিল আরসিবির। কিন্তু যেভাবে আরসিবির বর্তমান ও প্রাক্তন অধিনায়ক উইকেট দিয়ে গেলেন ২০ রানের মধ্যে, তাতে তখনই মনে হচ্ছিল মঙ্গলবারের ম্যাচে চেন্নাইয়ের প্রথম জয় অপেক্ষা করছে।
এদিন জানা গেল, সিএসকে তাদের সেরা বোলার দীপক চাহারকে এবার পাচ্ছে না। চোট এখনও সারেনি। কিন্তু মইন, মুকেশ, মহেশ ও জাদেজা মিলে এই ম্যাচে সেটা বুঝতে দেননি। আসলে ৭ ওভারে ৫০ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল আরসিবি। অনুজ রাওয়াত (১২) বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে যে চোখে পড়ার মতো ইনিংস আগে খেলেছেন, সেটা এখন অতীত। তবে ম্যাক্সওয়েল যতক্ষণ ছিলেন, মনে হচ্ছিল কিছু একটা হতে পারে। ১১ বলে ২২। দুটি চার, দুটি ছয়।
আরও পড়ুন-বাংলার পঞ্চায়েতের কথা এবার দিল্লিতে
কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে, দুশোর বেশি রান তাড়া করতে গেলে এমন ক্যামিও নয়, লম্বা ইনিংসের দরকার ছিল ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে। সেটা হতে দেননি চেন্নাইয়ের নতুন অধিনায়ক জাদেজা। ম্যাক্সওয়েলের উইকেট তাঁর। পরে প্রভুদেশাই (৩৪), শাহবাজ (৪১) আর কার্তিক (৩৪) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে চেন্নাইকে টপকানোর কোনও ইঙ্গিত ছিল না। সিএসকে আগে ব্যাট করে এত রান করতে পারল দু’জনের জন্য। উথাপ্পা (৮৮) ও দুবের (৯৫ নট আউট) দাপটে। ৩৬ রানে ঋতুরাজ (১৭) ও মইনকে (৩) হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল চেন্নাই। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ১৬৫ রান তুলে চেন্নাইকে শক্ত জমির উপর দাঁড় করিয়ে দেন এই দু’জন। এরপর জাদেজা নামলেও কোনও রান না করে ফিরে যান। তবে বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে সেটা পুষিয়ে দেন। ধোনি নট আউট ছিলেন শূন্য রানে।