সংবাদদাতা, বর্ধমান : সোমবার বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে রীতিমতো কড়া ভাষায় জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিকে বন্যা-পরিস্থিতির মোকাবিলায় মাঠে নেমে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ পেয়েই মঙ্গলবার থেকে জেলা প্রশাসনের কর্তারা মাঠে নেমে পড়েন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর-সহ যে সমস্ত জায়গা বন্যাকবলিত সেখানে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন-চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে পরীক্ষা মহামেডানের
বুধবার বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয়কুমার দাসের নেতৃত্বে বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা শাসক, বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের আধিকারিক, জামালপুর ও রায়নার বিডিওরা ঘুরে দেখেন এলাকার ত্রাণশিবির এবং নদীবাঁধগুলি। অমিয়বাবু জানান, এখনও বেশ কিছু এলাকায় জল জমে আছে। প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বিঘের পর বিঘে ধান ও সবজি চাষের। সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলেছে। জেলা প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের প্রতি সমস্ত রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলিও মেরামত করার কাজে হাত লাগিয়েছে সেচ দফতর। তবে নতুন করে নিম্নচাপের প্রভাবে আবার বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় সব ক’টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে। ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রীতিমতো দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে জেলাজুড়ে।