প্রতিবেদন : উৎসবের মরশুম শেষে শহরে ডার্বি-জ্বর। প্রথমবার আইএসএলের ডার্বি কলকাতায়। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের সব রাস্তা মিশবে যুবভারতীতে। গত দু’বছর কোভিডের কারণে দেশের সেরা লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছিল গোয়ায়। বড় ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। গত দু’বছরের অপ্রাপ্তি এবার যেন মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ। বড় ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে নিজেদের মাঠেই ক্লোজড-ডোর অনুশীলন করেন মোহনবাগান ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন-সেবিকা, বান্ধবী, মাতা ভারতময়ী নিবেদিতা
লুকিয়ে দিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসোদের প্র্যাকটিস দেখতে ঘেরাটোপের বাইরে থেকেই উঁকিঝুঁকি ছিল সমর্থকদের। ফুটবলাররা মাঠ ছাড়তেই সেই চেনা আবদার। বড় ম্যাচের আগে এমন ছবিই তো প্রত্যাশিত! তার উপর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ছ’টি ডার্বি জিতেছে মোহনবাগান। সাতে সাতের প্রত্যাশায় সবুজ-মেরুন জনতা। তবে ইস্টবেঙ্গলের ছবিটা একেবারে উল্টো। স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দলের অনুশীলন দেখে বোঝার উপায় নেই ডার্বির উত্তাপ চড়ছে। শুক্রবার সকালে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে লাল-হলুদের অনুশীলন দেখতে হাজির মাত্র জনা তিনেক সমর্থক। ডার্বির আগে ফুটবলারদের বিনা বাধায় প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড ছাড়তে দেখার ছবি সত্যিই বিরল! অবশ্য বাঙালির চিরকালীন বড় ম্যাচ ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। টিকিটের চাহিদাও রয়েছে। মোহনবাগানের কাছে ডার্বি হারের ডাবল হ্যাটট্রিক করে ফেলা ইস্টবেঙ্গল মর্যাদার লড়াইয়ে হৃতসম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে, সন্দেহ নেই।