ফার্নিচার এসেছে ওষুধের দোকান থেকে, বিরিয়ানির বিল ৩ লাখ,‘ভুয়ো বিল’-এর তদন্ত শুরু

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে ঠিকাদারদের জমা করা কোটি টাকার ভুয়ো বিল পেশের ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে ঠিকাদারদের জমা করা কোটি টাকার ভুয়ো বিল পেশের ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানার পরই সরেজমিন তদন্তে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি জানান, ‘সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে সবার সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট পাঠানো হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ অনুযায়ী হবে।’ ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে সবমিলিয়ে ৮১টি ভুয়ো বিল পেশ করে টাকা নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন-স্থায়ী পুনর্বাসন না দিয়ে শুরু বাড়িভাঙা

তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, হাসপাতাল চত্বর সবুজায়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল এক লাখ টাকা। ‘কাজ করে’ ঠিকাদার ২ লাখ ১৮ হাজার টাকার বিল পেশ করেছে। আদতে কোনও গাছই লাগানো হয়নি! আগাছায় ভরেছে চত্বর। ২০২০-র ১৭ অগাস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালের বিরিয়ানির বিল জমা পড়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৮০ টাকার। আবার একই নম্বরের (ডব্লু বি ৭৫৬৬৭১) গাড়ি একই সময়ে দুবার যাতায়াত করার বিল পেশ হয়েছে ১০,৮০০ টাকার। হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য লক্ষাধিক টাকার তিনটি সোফা-সেট-সহ টেবিল কেনা হয়েছে ওষুধের দোকান থেকে। ওষুধের দোকান কীভাবে ফার্নিচার বিক্রি করবে, উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন-আইএনটিটিইউসি শ্রমিকরা বলবেন, নেতারা শুনবেন

সুবর্ণ গোস্বামী বলে যান, ‘কিছু ভুয়ো বিল যে পেশ হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তা বোঝা যাচ্ছে। হাসপাতালের যে কর্তা বা কর্মী বিলের সুপারিশ করে স্বাক্ষর করেছেন তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদেরকেও নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হবে।’ রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘যাচাই কমিটির রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে, ভুয়ো নথি পেশ করে কোটি টাকার উপর তুলে নেওয়ার চেষ্টা চলছিল।  হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Latest article