গ্রিন গঙ্গাসাগর : সাগরবাসীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ‘রান ফর গ্রিন গঙ্গাসাগর’ ইভেন্টের মধ্য দিয়ে সচেতনার বার্তা দেওয়া হবে৷ লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমের পরেও সাগরে সবুজ পরিবেশ যাতে বজায় থাকে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য প্রশাসনের৷ তারই উদ্দেশে ১০ জানুয়ারি সকাল ৬টায় কপিল ওয়েল পাম্পিং স্টেশন থেকে ৫ নং বিচ পর্যন্ত দৌড়ে অংশ নেবেন হাজারও মানুষ৷
ফুড সেফটি : ভারত সেবাশ্রম সংঘ আশ্রমে হবে ফুড সেফটি ক্যাম্প৷ মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়৷ তাঁদের জন্যই আয়োজন সেইসব স্টল৷ যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাঁদেরকে নিয়মাবলি মেনে খাবারের গুণগত মান সঠিক রাখার বিষয়ে সচেতনতা-কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে ১০ জানুয়ারি দুপুর ১২টায়৷
আরও পড়ুন-পথদুর্ঘটনা এড়াতে অভিনব সেমিনার ট্রাফিক পুলিশের
সৃষ্টিশ্রী : গঙ্গাসাগর মেলা কেবলমাত্র পুণ্যস্নানের জন্য নয়৷ মেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে তীর্থযাত্রীরা কেনাকাটা করে থাকেন৷ প্রশাসনের তরফে থাকে বিভিন্ন হস্তশিল্পের সম্ভার৷ সৃষ্টিশ্রী স্টলের মাধ্যমে হস্তশিল্পের নানা উৎপাদন বা হাতের তৈরি কাজ বিক্রি করার নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হয়েছে৷ তীর্থযাত্রীরা সুদৃশ্য সৃষ্টিশ্রী স্টল পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন কেনাকাটা করে থাকেন৷ মেলা প্রাঙ্গণে সৃষ্টিশ্রী স্টলের সূচনা হবে ১০ জানুয়ারি সকাল ৮টায়৷
সাগর সংকীর্তন : বিগত কয়েক বছরে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাগর সংকীর্তন অনুষ্ঠান৷ ৯টি প্রধান এনজিওকে নিয়ে একটি র্যালির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন৷ এনজিওগুলির প্রতিনিধিরা নৃত্যকলা, কীর্তন, ধর্মীয় আবেগ প্রকাশ করে থাকেন এই ‘সাগর সংকীর্তন’-এর মাধ্যমে৷ সূচনা ১১ জানুয়ারি সকাল ৬টায়৷
সাগর প্রবচন : সাগর সংকীর্তন সম্পন্ন হওয়ার পর মূল মঞ্চে ধর্মগুরুরা ভক্তদের উদ্দেশে প্রবচন প্রদান, জ্ঞানদান করে থাকেন৷ ১১ জানুয়ারি থেকে তিনদিন সকাল ও বিকেলে এই বিশেষ আয়োজন৷ অংশ নেবেন ইসকন, শ্রীশ্রী কৃষ্ণচৈতন্য গীতা প্রচার সমিতি, রামকৃষ্ণ মিশন, লোকনাথ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, ক্রীড়া যোগ আশ্রম, ঠাকুর বালক ব্রহ্মচারী এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি, কপিলমুনি আশ্রম, শঙ্করাচার্য আশ্রমের প্রতিনিধিরা৷ বিগত বছরগুলিতে সাগর প্রবচনকে ঘিরে হয়েছিল ব্যাপক জনসমাগম৷
আরও পড়ুন-সুপার কাপ জয় এসি মিলানের
মহাসাগর আরতি : মহাসাগরে আরতি গঙ্গাসাগর মেলার প্রধান আকর্ষণ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে৷ ১১ জানুয়ারি থেকে পরপর তিনদিন প্রতি সন্ধ্যায় সাগরতটে হবে এই সন্ধ্যারতি৷ ঢাকি-সহযোগে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী পোশাকে মহিলা ও পণ্ডিতেরা অংশ নেবেন এই আরতিতে। সুসজ্জিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে দু’নম্বর রোডের ধারে প্রধান মঞ্চে এসে সমবেত হবেন তাঁরা। পণ্ডিতদের কণ্ঠে পবিত্র বেদ-মন্ত্রোচ্চারণে এবং ঢাকের বাদ্যি, মহিলাদের সম্মিলিত শঙ্খনাদ ও প্রদীপশিখার আলোকে চলবে এই মহাসাগর মহা আরতি।
বিচ ক্লিনিং ডাইভ : মেলা শেষে সাগরের পবিত্রতা ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের তরফে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিচ ক্লিনিং ডাইভ–এর মধ্য দিয়ে৷ ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার-কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মন্ত্রী, আমলা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা৷ বিশালসংখ্যক জনসমাগমের জেরে সৈকত স্বাভাবিক ভাবেই নোংরা হয়ে যায়৷ সাগরের সেই পরিবেশগত ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে এই কর্মসূচি৷