অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এসেছে গতি। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিতে পঠন-পাঠনে আনা হয়েছে অভিনবত্ব। চালু হয়েছে মডেল স্কুল। উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে জ্ঞানালয়। এরফলে জেলার ছাত্রছাত্রীরা পেয়েছে পঠনপাঠনের আধুনিক পরিকাঠামো। সুব্যবস্থাই এনে দিল সম্মান। গভর্নেন্স ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ স্কচ অ্যাওয়ার্ড-এর স্বর্ণ পুরস্কার পেয়েছে। এই উদ্যোগটি পরিকাঠামো উন্নয়ন, ইন্টারেক্টিভ স্মার্ট বোর্ড স্থাপন, উদ্ভাবনী টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল ইত্যাদির উপর বিচার করে হয়েছে। জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা জানান, জেলার প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে মডেল স্কুল গড়ার কাজ চলছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলগুলির পরিকাঠামোর সামগ্রিক উন্নতি করা হচ্ছে। এরফলে শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে। প্রথম পর্যায়ে ১০০টি স্কুলের কাজ চলছে। বরাদ্দকৃত তহবিলের কাজ সুষ্ঠুভাবে করা হয়েছে। প্রতিটি দেওয়াল সাজিয়ে তোলা হয়েছে নানা উদ্ভাবনী চিত্রকলায়। বৃক্ষরোপণ, কিচেন গার্ডেন, মেডিসিনাল গার্ডেন ইত্যাদি নানা কাজ করা হচ্ছে। ক্লাসরুমগুলিতে দেওয়া হয়েছে ৭৫ ইঞ্চি ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে বোর্ড। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও বেশি সহজ করতে দেওয়া হয়েছে এক বছরের ইন্টারনেট সংযোগ। এছাড়াও স্কুলে সংস্কৃতির প্রচারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করছে পড়ুয়ারা। তৈরি হয়েছে লাইব্রেরি এবং বুক ব্যাঙ্ক। স্কুলে খেলাধুলার মানোন্নয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টয়লেট এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাতেও আরও পরিচ্ছন্নতা আনা হয়েছে স্কুল গুলিতে। দ্বিতীয় ধাপে উচ্চ বিদ্যালয় গুলিতে সিসিটিভি ব্যবস্থা করা হবে। খুব শীঘ্রই সিসিটিভি বসানো হবে স্কুলে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জ্ঞানালয়’।
আরও পড়ুন-অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ সম্ভব নয়
উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রথম দফায় মোট ১০০টি এবং ২য় দফায় আরও অতিরিক্ত ২৬টি অর্থাৎ মোট ১২৬টি মডেল স্কুল তৈরির টার্গেট রয়েছে যার মধ্যে প্রাইমারি ও হাইস্কুল দুটোই রয়েছে। টিচার লার্নিং ম্যাটেরিয়ালেরও সুবিধা থাকবে। বাস্তবিকভাবেই এই জ্ঞানালয় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সরকারি বিদ্যালয়গুলির শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, ব্লক প্রশাসন, স্কুল প্রশাসন, শিক্ষক এবং ছাত্রদের আন্তরিক অংশগ্রহণ এই ব্যবস্থাকে সফল করেছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থায় যেমন শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে তেমনই শিক্ষার ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আগামীতেও অনুপ্রেরণার। দিল্লিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।