নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : বাজেট অধিবেশনের শেষদিনেও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে উত্তপ্ত হল সংসদ। বৃহস্পতিবার সভা শুরু হতেই তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধীরা পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। আলোচনা থেকে পালাতে তড়িঘড়ি লোকসভা এবং রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেয় সরকারপক্ষ।
আরও পড়ুন – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরণায় টিএমসিপি
জ্বালানি, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এরপরই এদিন সংসদ চত্বরে প্রতিবাদী বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল (Trinamool Congress)। কেন্দ্রীয় সরকারের বেপরোয়া মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। দলের অধিকাংশ সাংসদই উপস্থিত ছিলেন এই কর্মসূচিতে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে গলায় আলু, পেঁয়াজের মালা পরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভপর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশে যেভাবে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সর্বস্তরে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আমাদের দুর্ভাগ্য, লোকসভা বা রাজ্যসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হল না। উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে, তারপরেও আলোচনা হল না। সেই জন্য আমরা প্রতিবাদে শামিল হয়ে বলতে চাই, সরকার এব্যাপারে দ্রুত যথাযথ সিদ্ধান্ত এবং উদ্যোগ নিক। সতেরো দিনের এই বাজেট অধিবেশনে মাত্র দু’দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। দু’দিন আগে সভা মুলতুবি করে দেওয়া নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা। জনস্বার্থের ইস্যুতে আলোচনা এড়িয়ে দু’দিন আগে সভা মুলতুবি করায় ক্ষোভ জানিয়ে দিল্লিতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) জাতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, মোদি সরকার ভয় পেয়ে আলোচনা থেকে পালিয়েছে। দু’দিন সময় ছিল। হঠাৎ করে সরকার আজ অধিবেশন মুলতুবি করে পালিয়ে গেল কেন?
এদিকে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১০৫.৪১ টাকা এবং ডিজেল ৯৬.৬৭ টাকা। মুম্বইতে লিটার প্রতি পেট্রোল ১২০.৫১ টাকা ও ডিজেল ১০৪.৭৭ টাকা। কলকাতায় পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১১৫.১২ টাকা এবং ডিজেল ৯৯.৮৩ টাকা।