প্রতিবেদন: সেনা নামল মোদিরাজ্যে। বন্যা পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে গুজরাতে যে আর সামাল দিতে পারছে না রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার। গেরুয়া সরকারের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগ এনেছেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়েই সেনার সাহায্য চেয়েছে প্রশাসন। সোমবার থেকেই একটানা প্রবল বৃষ্টি চলছে সেখানে। অধিকাংশ নদীর জলস্তরই হয় বিপদসীমা ছুঁয়েছে, না হলে পৌঁছে গিয়েছে কাছাকাছি। নর্মদা সহ বেশ কয়েকটি নদী বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ফলে দেখা দিয়েছে বন্যাপরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৩০০জনকে। বন্যাপ্রবণ এবং বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার মানুষকে।
আরও পড়ুন-ধর্ষককে গ্রেফতার না করায় রাস্তায় নগ্নপ্রতিবাদ তরুণীর
ভেঙে পড়েছে একটি ব্রিজও। তৈরি হওয়ার মাত্র ৫ বছরের মধ্যে কীভাবে সেতুটি ভেঙে পড়ল প্রশ্ন উঠেছে তাই নিয়ে। নির্মাণের ত্রুটির নেপথ্যে কোনও দুর্নীতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সুরেন্দ্রনগর জেলার নানী মোরশাল গ্রাম সংলগ্ন একটি গ্রামের বাঁধ থেকে জল উপচে পড়তেই নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। চটিলা শহরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট কে কে শর্মা জানিয়েছেন, ভগভো নদীর ওপরে থাকা ১০০ মিটারের সেতুটি শহরের সঙ্গে হাবিয়াসর নামের একটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছিল। নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি। প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন ঘটনায় গান্ধীনগর এবং মহিসাগর জেলায় ২জন, আনন্দে ৬ জন, মোরবি,খেদা এবং বরোদায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। দেওয়াল চাপা পড়ে এবং গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যুরও খবর এসেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি চলছে প্রায় মাসখানেক ধরে।
উদ্ধারকাজে সেনা নেমেছে দ্বারকা,আনন্দ, বরোদা, খেদা,মোরবি এবং রাজকোট জেলায় সেনা নেমেছে। আছে ৩৬টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলও।