নয়াদিল্লি: বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ও অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর মতো বড় ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে(BCCI_AIFF) কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে লোকসভায় জানালেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান যে, এআইএফএফ সহ ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশনগুলি (এনএসএফ) স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০, ট্রাস্টস অ্যাক্ট, কোম্পানিজ অ্যাক্টের অধীনে নিবন্ধিত। সরকার ন্যাশনাল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট কোড অফ ইন্ডিয়া, ২০১১ এবং সময় সময় জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে এনএসএফগুলিকে স্বীকৃতি দেয়। তবে, বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) একটি ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) হিসেবে স্বীকৃত নয়। মন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন যে, ক্রীড়া সংস্থার সঠিক ও সুষ্ঠু কার্যকারিতার জন্য সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের কোনও পরিকল্পনা নেই। স্পোর্টস কোড অনুসারে এনএসএফগুলিকে কিছু স্বাস্থ্যকর পরিচালনা পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতি, পদাধিকারীদের বয়স ও মেয়াদের সীমাবদ্ধতা, খেলাধুলায় সুশাসনের মৌলিক নীতিগুলি, সঠিক হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, বয়সের জালিয়াতি ও কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং মডেল নির্বাচন নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে চার নির্দেশ আমেরিকার
ভবিষ্যতে এই বড় ক্রীড়া সংস্থাগুলির (BCCI_AIFF) অডিট বা হিসাব নিরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, যে সমস্ত ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পায়, তাদের হিসাব কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া দ্বারা নিরীক্ষার (অডিট) অধীন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার পরোক্ষভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছে।

