প্রতিবেদন : জোড়াতালি দিয়ে এনডিএ সরকার গড়ার চেষ্টা করলেও, দিল্লিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত, এই নড়বড়ে সরকার টিকবে না। যে সংখ্যা দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের দাবি করবে বিজেপি, সরকার গড়লেও, সেই সংখ্যা দ্রুত কমার ইঙ্গিত আসছে। বিজেপি তাদের সংখ্যা বাড়াতে অন্যদিক থেকে সাংসদ জোগাড়ের চেষ্টা করছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তার উল্টো প্রক্রিয়াও এনডিএ শিবিরে চলছে বলে খবর স্পষ্ট। বিজেপি যে দলগুলির সমর্থন পেতে দরাদরি করছে, সেখানেও ফাটল ধরছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, জোড়াতালির সরকার নানা দাবির চাপে শুরু থেকেই হোঁচট খাচ্ছে। ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance) সব খবর রাখছে। তারা কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে এনডিএকে সরকার গঠন করতে দিয়ে তাদের ল্যাজেগোবরে হওয়ার অপেক্ষা করছে। উল্লেখ্য, ভোটে প্রচারের সময় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি চারশো পার তো হবেই না; আগে ওরা দুশো পেরিয়ে দেখাক। তারপর দফারফা হয়ে যাবে। দেশের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করছে।’’ ভোটের পর দেখা যাচ্ছে নেত্রীর কথা হুবহু মিলে যাচ্ছে। নেত্রী দিল্লিতে পাঠিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে অভিষেক সক্রিয়। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে কলকাতায় কখনও বাড়ি, কখনও নবান্নে বসেই দিল্লি দরবারের খুঁটিনাটি খবর রাখছেন। ফোনে ব্যস্ত। নেত্রীর মতামত নিতে ফোন আসছে দেশের বিভিন্ন দলের নেতাদের কাছ থেকে। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যা রিপোর্ট, স্নায়ুর চাপ আর অঙ্কের খেলায় প্রবল চাপে মোদিবাহিনী। ইন্ডিয়া এখন ঘর সামলে রেখে গোপন যোগসূত্রে উলটপুরাণের মঞ্চ তৈরি রাখছে। মন্ত্রিসভা নিয়ে বিজেপির ভিতরে যে চরম গোলমাল, তারও সব খবর রাখছে ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। আপাতত এনডিএতে থাকলেও ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলে রাখছেন একাধিক শরিকের একাধিক নেতা ও সাংসদ। যা অঙ্ক, তাতে এনডিএ আপাতত সরকার গড়লেও পনেরো দিন বা একমাস পর থেকেই নাটকীয় কিছু টানাপোড়েন শুরু হবে। দিল্লির সর্বশেষ খবর, মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে বিজেপি আর শরিকদের মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্ব আর দরাদরি। চন্দ্রবাবু নাইডুকে এই কারণে রাজ্যে শপথ পিছিয়ে দিল্লিতে আসতে হয়েছে।