প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার কলকাতা বইমেলার এসবিআই অডিটোরিয়ামে নবম কলকাতা সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস। জীবনে বইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি প্রশংসা করেন বাঙালির বই পড়ার অভ্যাসের। বাল্মীকি, কালীদাস থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজির প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর বক্তৃতায়। ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-শুক্রবারই ফল প্রকাশ হতে পারে প্রাথমিক টেটের
তিনি বলেন, কলকাতা বইমেলা বাঙালি সাহিত্য রসিকদের প্রাণের মেলা। বাঙালি পাঠক বিশ্বসাহিত্যের রসাস্বাদনে পিছিয়ে নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন লেখকের বই এই বইমেলায় সমাদৃত হয়। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যপালের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, সুধাংশুশেখর দে, ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এবারের সাহিত্য উৎসবে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তার ঠিক আগেই একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অভিনেতা আকাশ খুরানা। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের শিশু আলয় স্টলে কবিতা পড়েন প্রসূন ভৌমিক। মেলার বিভিন্ন মঞ্চে ও স্টলে বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত হয় নানা অনুষ্ঠান। জমজমাট ছিল ‘জাগোবাংলা’ স্টল।
আরও পড়ুন-১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি কেন্দ্র, বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রায় দুপুর থেকেই উপচে পড়েছিল ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই কেনার জন্য বিভিন্ন বয়সি পাঠকদের ছিল আগ্রহ। স্টলে আসেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কথা বলেন দোলা সেনের সঙ্গে। দেখেন মুখ্যমন্ত্রীর বই। আড্ডার চেনা ছবি দেখা গিয়েছে লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়নে। অনেকেই স্পেন, থাইল্যান্ড, জাপান, লাতিন আমেরিকার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। গমগম করছিল ফুডকোর্ট। কেউ কেউ সংগ্রহ করেছেন হস্তশিল্পীদের কাজ। উধাও শীত। বসন্ত-বাতাস আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলেছে মেলাকে। বাকি আরও তিনদিন। বইমেলা প্রাঙ্গণ যে জনসমুদ্রের চেহারা নেবে, বলার অপেক্ষা রাখে না।