প্রতিবেদন : রাজ্যপালরা অসাংবিধানিক আচরণ করছেন। রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশের পরও তাতে অনুমোদন দিচ্ছেন না। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করা হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ উঠছে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে। এবার রাজ্যপালদের এই আচরণের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু সরকার।
আরও পড়ুন-মৃত্যুমিছিল, তবু গাজা নিয়ে হুঙ্কার জারি নেতানিয়াহুর, হামাসকে নাৎসি তোপ রাষ্ট্রসংঘে
রাজ্যপালদের দফতরে পড়ে থাকা বিলগুলি সময়মতো অনুমোদনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছে পাঞ্জাবের আপ ও তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। দুটি পৃথক আবেদনে পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ু সরকার বলেছে, বিধানসভায় গৃহীত অথবা প্রস্তাবিত বিলগুলি রাজ্যপালের দফতরে দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে থাকছে অনুমোদনের অপেক্ষায়। রাজ্যপালদের কাছে অনুমোদনের জন্য পড়ে থাকা বিলগুলি যাতে সময়মতো নিষ্পত্তি করা হয় সেজন্য শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করুক এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক। দুটি আবেদনই ২৮ অক্টোবর দাখিল করা হয়েছে। পাঞ্জাব সরকারের আবেদনটি ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্তির জন্য অনুমোদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-জাতীয় অ্যাক্রোবেটিক ৭ পদক পূর্বস্থলীর ছেলেমেয়েদের
আম আদমি পার্টির (আপ) নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত পাঞ্জাব বিধানসভার ২৭টি বিলের মধ্যে মাত্র ২২টিতে সম্মতি দিয়েছেন। গত সপ্তাহে পাঞ্জাব সরকার রাজ্যপালের অনুমোদন স্থগিত করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে পুরোহিত মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে চিঠি লিখে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আগামী দিনে বাকি বিলগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন-পাটাপুজো করে রাস উৎসবের ঢাকে কাঠি পূর্বস্থলীতে
অন্যদিকে, তামিলনাড়ু সরকার বলেছে, বিধানসভায় পাশ করা ১২টি বিল রাজ্যপাল আর এন রবির অফিসে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। রাজ্যপাল সরকারী কর্মচারীদের বিচারের অনুমোদন এবং বিভিন্ন বন্দিদের অকাল মুক্তি সংক্রান্ত ফাইলগুলি নিয়ে বসে আছেন। দুটি আবেদনেই সরকারিয়া কমিশনের সুপারিশের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিধানসভা দ্বারা পাশ করা বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য রাজ্যপালদের সময়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হোক। আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যপালরা পরিকল্পিতভাবে নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে সমগ্র প্রশাসনকে অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং রাজ্য প্রশাসনকে সহযোগিতা না করে একটি প্রতিকূল মনোভাব তৈরি করছেন। প্রসঙ্গত, বিল নিয়ে টালবাহানার পরিস্থিতি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। বিজেপির নির্দেশে রাজ্যপাল এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।