কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমতার লোভেই দেশভাগ!

Must read

নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: স্কুলশিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা বিজেপির। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির স্কুল পাঠ্যবইতেও মিলছে রাজনীতির আঁচ। হরিয়ানার (Haryana) নবম শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবইয়ে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করা হয়েছে। তৎকালীন কংগ্রেস (Congress) নেতাদের তোষণের রাজনীতি এবং ক্ষমতার লোভের কারণেই দেশভাগ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা এবং অগ্রগতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশভাগের জন্য মুসলিম লিগের সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ এবং মহম্মদ আলি জিন্নার (Mohammed Ali Jinnah) হঠকারিতাকেও দায়ী করা হয়েছে। নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ১৯৪০ সালের পর থেকেই কংগ্রেস (Congress) নেতারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সে কারণে তাঁরা আর লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছিলেন না। কংগ্রেস নেতারা দ্রুত ক্ষমতা পেতে উৎসাহী হয়ে পড়েছিলেন। সে কারণেই তাঁরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশের স্বাধীনতা চাইছিলেন। তবে হরিয়ানা সরকারের ওই বইয়ে গান্ধীজির প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গান্ধীজি দেশভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা উৎসাহ না দেখানোয় তাঁকেও দেশভাগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল। ওই বইয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, শান্তি ফেরাতেই যদি দেশভাগ হয়ে থাকে তাহলে আজও কেন শান্তি ফেরানো গেল না? অনলাইনে বইটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ ও গৈরিকীকরণ করার উদাহরণ এই বই। যুব সমাজের মাথায় গেরুয়া চিন্তাভাবনা ঢোকানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপি। হরিয়ানা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান জগবীর সিং বিরোধীদের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ৪০ জন ইতিহাস গবেষকের সাহায্যে এই বইটি লেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনায় কাবু কিমের কোরিয়া

Latest article