চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওড়িশার মহিলা ক্রিকেটার রাজশ্রী সোয়েন। শুক্রবার কটক জেলার একটি ঘন জঙ্গলে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে রাজশ্রীর দেহ। রাজশ্রীর প্রধান কোচ পুষ্পাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায় কটকের মঙ্গলাবাগ থানায় ১২ জানুয়ারি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দেহ মেলার পর রাজশ্রীর পরিবার তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন-আড়াই বছরেই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আদিগঙ্গা
কটকের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পিনাক মিশ্র বলেছেন, নিখোঁজ মহিলা ক্রিকেটার রাজশ্রী সোয়েনের মৃতদেহ কটক জেলার আঠাগড় এলাকার গুরুদিঘটিয়া জঙ্গল থেকে পাওয়া গিয়েছে। একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল রাজশ্রীর দেহ। জঙ্গলের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে মৃত রাজশ্রীর স্কুটি আর হেলমেট। মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ গুরুদিঘটিয়া জঙ্গলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন রাজশ্রী। মিডল অর্ডারে ব্যাটও করতেন। রাজশ্রীর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পের জন্য কটকের একটি হোটেলে ছিলেন।
আরও পড়ুন-পথের ধারে লাঞ্চ সেরে কুৎসার জবাব শতাব্দীর
শিবিরের সেরা খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও রাজশ্রী চূড়ান্ত দলের ঠাঁই পাননি। চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়ায় মানসিক চাপে ছিলেন তাঁর মেয়ে। রাজশ্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। রাজশ্রী তাঁর বোনকেও ফোন করে এই কথা জানিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পুদুচেরিতে আসন্ন জাতীয় স্তরের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য কটকে ওড়িশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন রাজশ্রী। কিন্তু টুর্নামেন্টের জন্য নির্বাচিত না হয়ে কান্নাকাটি করছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর এক রুমমেট।