প্রতিবেদন : দাবদাহের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওআরএস-এর চাহিদা। কিন্তু জীবনদায়ী ওষুধের মতোই এখন মহার্ঘ্য ওআরএস। রাজ্য স্বাস্থ্য দফরত আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২০ লাখ প্যাকেট ওআরএস কিনেছে। খোলা বাজারে কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া জেলায় রেকর্ড ওআরএস বিক্রি হচ্ছে। শহরের ওষুধের দোকানগুলিতে গড়ে রোজ ৬০০০-৬৫০০ টাকার ওআরএস প্যাকেট ও সলিউশন বিক্রি হচ্ছে। অবস্থা সামাল দিতে ভিনরাজ্যের ওষুধ কোম্পানির শরণাপন্ন হয়েছেন রাজ্যের ডিস্ট্রিবিউটরদের একাংশ।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ৩ সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দু’সপ্তাহের কম সময়ে অন্তত কোটি টাকার ওআরএস প্যাকেট-সলিউশন বিক্রি হয়েছে। বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সব জেলার সঙ্গে বৈঠক করে ওআরএস মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, হিট স্ট্রোক বা গরমে একমাত্র দাওয়াই ওআরএস। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে বুধবারই পুলিশ জেলাগুলিকে ১০ হাজার প্যাকেট ওআরএস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলিতেও ওআরএস পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে গরমের মোকাবিলায় তৈরি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।