ঢাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

কিন্তু এই অবস্থায় বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে হরিজন সম্প্রদায়ের এই বসতি উচ্ছেদ করা যাবে না এমনই নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট

Must read

ব্রিটিশ (British) শাসনকাল থেকেই ভারতের একাংশ থেকে আসা হরিজন সম্প্রদায়ের লোক থাকে ঢাকার বংশাল এলাকার আগা সাদেক রোডে হরিজন কলোনিতে, যা মিরনজিল্লার সুইপার কলোনি নামেও বেশ জনপ্রিয়৷ ভারতের এই হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বেশ কয়েক’শ বছর ধরে এই কলোনিতে থাকছেন। মিরনজিল্লার সুইপার কলোনিতে এই মুহূর্তে কমপক্ষে পাঁচ’শর মতো পরিবার বাস করেন। কিন্তু এখন কাঁচাবাজার নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে সেই ৪০০ বছরের পুরনো কলোনি উচ্ছেদে হবে। দায়িত্ব নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)৷ কিন্তু এই অবস্থায় বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে হরিজন সম্প্রদায়ের এই বসতি উচ্ছেদ করা যাবে না এমনই নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট (Bangladesh Highcourt)।

আরও পড়ুন-চাপে পড়ে গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জনকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা বিষয়ক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার ১ মাসের ‘স্ট্যাটাসকো’র আদেশ দিয়েছেন। বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে হরিজনদের উচ্ছেদ কেন তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আদালতে হরিজনদের পক্ষে এদিন ঘটনার শুনানিতে ছিলেন তিন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মনজ কান্তি ভৌমিক ও আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস।

আরও পড়ুন-কুয়েত: অগ্নিদগ্ধ বাংলার শ্রমিক, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তরফে খবর, এখানে বসবাস করা পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ৬৬ জনকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কারণ এই ৬৬ জন করপোরেশনের কাজে নিয়োজিত। বাকি পরিবার উচ্ছেদ করে সেই জমিতে বহুতল ভবন বাণিজ্যিক ও কাঁচাবাজার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানে বসবাস করা পরিবারের সদস্যরা কোন এক সময় সিটি করপোরেশনের কর্মী ছিল। তবে অনেকেই ছাঁটাই হয়েছেন বা কারও মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলে পালাবদল, নতুন কমিটিতে ঝুলন

গত ৯ জুন কলোনি খালি করতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। ১০ জুন সোমবার অভিযান চালায় তারা৷ ১১ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্তারা বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও এক্সক্যাভেটর নিয়ে কলোনিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। তাদের সময় দেওয়া হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টা। ১৪ জুনরাত অথবা ১৫ জুন শনিবার ফের কলোনিতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার মধ্যে হাইকোর্ট উচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

 

Latest article