প্রতিবেদন : রাজ্যের সংশোধনাগারগুলিতে বন্দিদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ অগস্টের মধ্যেই এই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। একটি স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ। বন্দিদের মানসিক অবস্থা বুঝতে কিছুদিন আগে সংশোধনাগারগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। তখনই কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে কলকাতা হাইকোর্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটির চেয়ারম্যানের।
আরও পড়ুন-সুকান্ত এখন গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল
হাইকোর্ট জানতে চায়, জেলে পর্যাপ্ত সংখ্যার মনের চিকিৎসক বা মনোবিদ আছেন কি না। আবাসিকদের নিয়মিত কাউন্সেলিং করা হয় কি না। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দেশের প্রতিটি কারাগারের বন্দিদের মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল আগেই। শুধু জেলবন্দিদের মানসিক স্থিতিই নয়, আরও বেশ কয়েকটি গুরুতর বিষয়ও বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছে আদালত। তলব করা হয়েছে রিপোর্ট। প্রথমত, বন্দির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জায়গার অভাবের বিষয়টিও নজরে এসেছে আদালতের। সেই কারণেই মরণাপন্ন এবং সংকটজনক বন্দির সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। জানুয়ারিতে এই ধরনের মোট ৩৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে অফলাইনে
দ্বিতীয়ত, বহুবছর ধরে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ১০০ বন্দিকে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আরও কতজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে তা পর্যালোচনা করে ৮ অগাস্ট হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। এখানেই শেষ নয়, ধৃত ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারাবাসের মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের মুক্তির বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তির নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে সংশোধনাগারের আবাসিকদের চিকিৎসার বিষয়ে। তলব করা হয়েছে বিস্তারিত রিপোর্ট।