প্রতিবেদনে : মাত্রা ছাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম। কোনও হেলদোল নেই কেন্দ্রের। নভেম্বর মাস পড়তেই পেঁয়াজের বাজার আগুন। দাম বেড়েছে একলাফে ২১ শতাংশ। আবার পেঁয়াজের দামের সঙ্গে তালমলিয়ে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও। কেন্দ্রের সরকার অবশ্য এরপরেও নির্লজ্জের মতো দাবি করছে তাঁদের আমলে সবজি, বিশেষত আলু, টমেটো, পেঁয়াজের দাম ইউপিএ আমলের থেকে কমেছে।
আরও পড়ুন-আরও বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে : কর্মীদের শতাব্দী
অর্থনীতিকরা মনে করছেন, অন্যান্য সবজির দাম চার শতাংশ কমার আশা দেখালেও, পেঁয়াজের দাম সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে কমবে না। দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য মহারাষ্ট্রে এই দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে চলেছে মারাত্মকভাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আভাস দিয়েছিলেন সেপ্টেম্বরের ৫.৫ শতাংশ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। পরের মাসগুলিতে তা আরও বাড়বে। নভেম্বর পড়তেই তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতির কারণে গোটা দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে ৪ নভেম্বর পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৭.৭০ টাকা প্রতি কেজি, তিনদিন পরে সেই দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজিতে ৫৭.৭০ টাকা। খুচরো বাজারে মাসের মাঝামাঝি সেই দাম উঠেছে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। ২০২৩ সালের এই সময়ের হিসাব অনুযায়ী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন-জাতীয় তিরন্দাজিতে বাংলার অনিমেষের সোনা জয়, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রের সরকার দাবি করেছে, তাঁদের আমলে সবজি বিশেষত আলু, টমেটো, পেঁয়াজের দাম ইউপিএ আমলের থেকে কমেছে। ইউপিএ আমলে পেঁয়াজের দাম দশ বছরে ২৯১ শতাংশ বেড়েছিল। সেখানে এনডিএ আমলে বৃদ্ধির হার ৪১.০৭ শতাংশ। কেন্দ্রের সরকারের এই ব্যাখ্যা যে একেবারেই ভ্রান্ত, তা প্রমাণ করছে ৫২ মাসে পেঁয়াজের দাম সবথেকে বেশি মাত্রা ছোঁয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে সাধারণ সবজির দাম আগের বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রের সরকার বড়াই করেছে সময় মতো দাম বেঁধে দেওয়ার কারণে টমেটোর দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অথচ টমেটোর দাম এ বছরে বেড়েছে ১৬১ শতাংশ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করলেও, এবার পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশ ভালো মতোই টের পাচ্ছে একনাথ শিণ্ডে সরকার।