নয়াদিল্লি : অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর আবারও চিন থেকে আমদানি নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় হিংসাত্মক সংঘর্ষের পরেও একই দাবি উঠেছিল। কিন্তু সেই দাবি শুধুমাত্র প্রতীকী দাবি হয়েই রয়ে গিয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিন থেকে ভারতের আমদানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার পর চিন ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
আরও পড়ুন-হতাশ হয়ো না ভাই, হাকিমিকে এমবাপে
২০২০-২১ আর্থিক বছরে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১১৫৮৩ কোটি ডলার। ওই বছর আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছিল ১১৯৪৮ কোটি ডলার। অথচ ২০০১ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারত ছিল চিনের দশম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০০২-২০০৩ সালের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০১১-১২ সালে চিন ভারতের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছিল।২০১৩-১৪ সাল থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত চিন ভারতের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল। তবে ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে আমেরিকা চিনের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে ওঠে। ২০২০-২১ সালে ভারত আবার চিনের এক নম্বর বাণিজ্যিক অংশীদার হয়।
আরও পড়ুন-মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখছে কাতার
সরকারী পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের শুরু থেকেই চিন থেকে আমদানি খুব দ্রুত বেড়েছে। ২০০২ সালে, ভারত চিন থেকে মোট ২০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল। ২০২০-২১ সালে যা বেড়ে ৯৪৫৭ কোটি ডলার হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে চিনে ভারতের রফতানি খুব ধীর গতিতে বেড়েছে। ভারতের রফতানি মাত্র ১০০ কোটি ডলার থেকে ২১০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ২০০১-০২ সালে ছিল ১০০ কোটি ডলার। বর্তমানে যা বেড়ে হয়েছে ৭৩০০ কোটি ডলার। চিন থেকে আমদানি বাড়ায় চলতি বছরে বাণিজ্যিক ঘাটতি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকেই চিন থেকে আমদানি বাড়তে থাকে।