প্রতিবেদন : ‘আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা চলছে, যত তাড়াতাড়ি পারেন আমার মাকে খবর দিন।’ সঙ্গে লেখা দুটি ফোন নম্বর। বিষয়ের আকস্মিকতা কাটিয়ে তিনি ফোন করেন একটি নম্বরে। জানান চিরকুটের লেখার কথা। এরপরই পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে বানারহাটের (Banarhat) বধূ সুমিত্রা সরকারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বানারহাট থানার (Banarhat Police Station) তেলিপাড়ার বাসিন্দা পেশায় সেনাবাহিনীর হাবিলদার বিনোদকুমার সাহার সঙ্গে ৫ বছর আগে সোশ্যাল মাধ্যমে পরিচয় হয় রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুমিত্রা সরকারের। তাঁদের বিয়ে হয়। ৩ বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর প্রথমে তাঁরা ছিলেন পুণেতে। পরে কর্মসূত্রে স্বামীর বদলির কারণে তেলিপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন। সুমিত্রার অভিযোগ, এরপরই স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। তাঁকে ৫-৬ দিন খেতে না দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইলও। ফলে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। হুমকি দিয়ে বলা হয়, সুমিত্রাকে বিহারে রেখে এসে স্বামীর আবার বিয়ে দেওয়া হবে। সুমিত্রা বাঁচার আর্জি জানিয়ে বাপের বাড়ির ফোন নম্বর একটি চিরকুটে লিখে পথচলতি পড়শিকে ছুঁড়ে দেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা সীমা দাস বলেন, “গতকাল আমি মেয়েটির লেখা চিরকুটের বিষয়ে জানতে পারি। আজকে সকালে ওর বাড়ির লোকেরা এলে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, চিরকুটে যা লেখা আছে তা সত্য। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে উদ্ধার করা হয়।”
আরও পড়ুন-বালুরঘাট পুরসভায় নিয়োগ শতাধিক