প্রতিবেদন: কী বলা যায় একে, পৈশাচিক ঘটনা? বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। দৃষ্টিহীন স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারল স্বামী। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যে। গোপীগঞ্জ এলাকায় সরাই মিসরানি গ্রামে। স্ত্রীর কাছে মোটা অঙ্কের পণ এবং মোটরবাইক দাবি করেছিল গুণধর স্বামী। দৃষ্টিহীন স্ত্রী তা দিতে না পারায় তাঁকে আগুনে ঠেলে ফেলে দেয় সে। স্ত্রীর করুণ আর্তনাদেও বিন্দুমাত্র অনুতাপ জাগেনি স্বামীর মনে। ডাক্তার ডাকতেও অস্বীকার করে সে। হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন মনে করেনি সে। ৯০ শতাংশ দগ্ধ স্ত্রীকে প্রয়াগরাজের কাছে শালির বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনা। শনিবার মৃত্যু হয় দগ্ধ মহিলার। বাপের বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করলেও শেষপর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ওই মহিলাকে। এখনও ফেরার আততায়ী স্বামী। এই ভয়াবহ ঘটনায় শিউরে উঠেছে সভ্যসমাজ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যোগীপ্রশাসনের অপদার্থতার সুযোগেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ধরনের পৈশাচিক প্রবণতা।
আরও পড়ুন-সীমান্তে সেনা-মহড়া চালিয়েই যাচ্ছে চিন!
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, খুনি স্বামীর নাম রাজু গৌতম, নিহত স্ত্রীর নাম সুষমা। ২০২৪ -এর জানুয়ারিতে এক গণবিবাহের আসরে রাজুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুষমার। কিছুদিন পর থেকেই পণের দাবিতে সুষমার উপরে নির্যাতন শুরু করে রাজু। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকমাসে সেই দু’জনের মধ্যে তিক্ততা পৌঁছায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। লক্ষণীয়, রাজুর কিন্তু আগেও দু’টি বিয়ে হয়েছিল। আগের পক্ষের দু’টি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল সেদিনের ঘটনা? ১৩ ডিসেম্বর মেয়েদের দিয়ে বনফায়ার জ্বালিয়েছিল রাজু। দৃষ্টিহীন স্ত্রীকে আচমকাই ধাক্কা মেরে আগুনের মধ্যে ফেলে দেয় স্ত্রী। প্রতিবেশী এবং সুষমার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, পূর্ব পরিকল্পনা মতোই অন্ধ স্ত্রীকে খুন করার নিখুঁত ছক সাজিয়েছিল রাজু। সেই কারণেই ডাক্তার না ডেকে বা হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে সুষমাকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থাতেই প্রয়াগরাজের কাছে জানকীনগর তাঁর দিদির বাড়িতে ফেলে রেখে চম্পট দেয়।