নারী নিগ্রহের ও অসম্মানের জ্বলন্ত প্রমান বার বার উঠে আসে যোগীরাজ্যে। এবার উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) বুলন্দশহরের বাসিন্দা ৩৫ বছরের এক নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান গত তিন বছর ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। স্ত্রীকে ধর্ষণের ছাড়পত্র ছিল বন্ধুদের। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হত এবং বিদেশের মাটিতে বসে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিয়ো দেখতেন স্বামী।
আরও পড়ুন-বিজেপি শাসিত রাজ্যে জেল পরিসরে ‘মেড ইন চায়না’ ড্রোন
জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী একজন সৌদি আরব প্রবাসী। টাকার বিনিময়ে তিনি বন্ধুদের বাড়িতে পাঠিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করাতেন। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে তাঁর বিয়ে হয়। চার সন্তান রয়েছে। স্বামী সৌদি আরব থেকে বছরে দু’-একবার বাড়িতে ফিরতেন। বছর তিনেক আগে একবার বন্ধুদের ডেকে এনে ধর্ষণ করিয়েছিলেন নিজের স্ত্রীকে। তারপর তিনি সৌদি আরবে ফিরে যান তবে বন্ধুদের তার ওপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুন-লস অ্যাঞ্জেলসের বিধ্বংসী দাবানলে ঘরছাড়া জেনিফার অ্যানিস্টন, ব্র্যাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয় নি। ৩ জনেই পলাতক। মহিলা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে জানান স্বামী সৌদি আরবে বসে মোবাইলে ভিডিও দেখতেন। তিনি সন্তানদের জন্য চুপ করেছিলেন, কারণ তিনি মহিলাকে কথা না শুনলে বিবাহ বিচ্ছেদের হুমকি দিয়েছিলেন। মহিলার ভাইয়ের মতে, এই ঘটনা নিয়ে প্রতিনিয়ত তার বোন এবং তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া হত। ঝামেলা চরম পর্যায়ে পৌঁছলে তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস করেন।