প্রতিবেদন : কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অপমান করেছে। সম্মান দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের নাম হবে গান্ধীজির নামে। বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপিকে বিঁধে তাঁর স্পষ্ট কথা, জাতির পিতাকে ওরা অসম্মান করেছে আমরা সম্মান দেব। বৃহস্পতিবার ছিল শিল্প সম্মেলন। বাম আমলে ঘুণ-ধরা অবস্থা থেকে সবদিক থেকে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলায় যেভাবে উন্নয়নের কাজ হয়েছে তা তুলে ধরেন। শিল্পের নিরিখে বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিছু মানুষ শুধু পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করে। কে বলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের সম্ভাবনা নেই? পশ্চিমবঙ্গ এশিয়ার অন্যতম বড় লজিস্টিক হাব, যা শিল্পক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ রাজ্য।
আরও পড়ুন-মাঝআকাশে টায়ার ফেটে কোচিতে জরুরি অবতরণ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের
কখনও কখনও রাজ্যের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়। টাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের বদনাম করা হয়। এই ভুয়ো খবরকে চ্যালেঞ্জ করছি। ব্যবসায়ীদের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। সব ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই। তাঁর সংযোজন, দেউচা-পাঁচামির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর আগে ১২-১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হত। এখন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। ২ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমানো গিয়েছে। পুরুলিয়ায় জঙ্গলসুন্দরী প্রকল্পের কাজ চলছে। তথ্য-প্রযুক্তিক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ-রাজ্যের সিলিকন ভ্যালি ৩৫ হাজার কোটির বিনিয়োগ টেনেছে। বাংলায় পর্যটনশিল্প আন্তর্জাতিক স্তরেও স্বীকৃত। রাষ্ট্রপুঞ্জ দুর্গাপুজো ও কালীপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিলিগুড়িতে তৈরি হবে মহাকাল মন্দির। এর পরেই কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। তার পরেও সাধারণ মানুষদের জন্য বহু প্রকল্প চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে সরানো হয়েছে গান্ধীজির নাম। জাতির জনককেও কি আমরা ভুলে যাচ্ছি? ওরা ভুললেও বাংলা ভুলবে না।

