সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। রাজ্য পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনিকে গ্রেফতার করল। এতে পরিষ্কার হয়ে গেল, তদন্ত ঠিক পথেই চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে ধরা হয় তাকে। নাম কলেবর সিং। বাড়ি বোকারোর জরিডি থানা এলাকায়। শুক্রবার ধৃতকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মূল খুনি গ্রেফতার হওয়ায় এবার রহস্যের জট তাড়াতাড়ি খুলবে বলে আশা করছে পুলিশ (West Bengal Police)। তবে পুলিশ সুপার এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
১৩ মার্চ সন্ধ্যার মুখে মোটরবাইক আরোহী অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সদ্য বিজয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ওঁর স্ত্রীর অভিযোগক্রমে পুলিশ গ্রেফতার করে ভাইপো দীপক কান্দুকে। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের ভিত্তিতে মূল ঘাতকের স্কেচ আঁকিয়ে তদন্ত শুরু করে। গড়া হয় ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। সমান্তরালভাবে সিআইডিও তদন্ত চালায়। তদন্ত যে ঠিক পথেই এগোচ্ছিল, মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। খুনে কেউ তাকে সুপারি কিলার হিসাবে নিয়োগ করেছিল কিনা, তা দেখা হবে। নিহতের সঙ্গে খুনির আর্থিক বা অন্য কোনও কারণে শত্রুতাও থাকতে পারে। তবে পুলিশ (West Bengal Police) নিশ্চিত, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মৃতার স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশকে ঘটনার কেস ডায়েরি আদালতে জমা করতে বলেছিল। শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপার সেই ডায়েরি আদালতে জমা দিয়েছেন।