গ্রামবাসীর স্বার্থে ময়ূরাক্ষীতে কজওয়ে তৈরির নকশা শুরু করল সেচ দফতর

এলাকার ৬০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি এবার মিটতে চলেছে।

Must read

প্রতিবেদন : এলাকার ৬০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি এবার মিটতে চলেছে। বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি গ্রামের কাছে ময়ূরাক্ষীর সর্বেশ্বর ঘাটের কজওয়ের তৈরির নকশার কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। এই খবর জেনে এলাকার বাসিন্দারা খুশি। কেননা কজওয়ের দাবিতে তাঁরা বহু বছর আন্দোলন করছেন। আর এটি তৈরি হলে এলাকার ব্যবসায়িক পরিধি আরও বাড়বে বলেই তাঁদের ধারণা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, শতাব্দীপ্রাচীন ব্যবসার জায়গা বলে পরিচিত এই পাঁচথুপি ইতিহাস সূত্রেও এ কথা জানা যায়। কিন্তু এর সঙ্গে অন্যান্য গ্রামের যোগাযোগে অন্তরায় ময়ূরাক্ষী নদী।

আরও পড়ুন-বড়দিনে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ল মাইথন জলাধারে

ময়ূরাক্ষীই এলাকাকে কার্যত দ্বিখণ্ডিত করেছে। তাই নদীর দু’পাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগে উন্নতি ঘটাতে সর্বেশ্বরঘাটে একটি কজওয়ে তৈরির দাবি উঠেছে বহুবছর ধরে। পাঁচথুপি নাগরিক মঞ্চের সভাপতি অজিত শাস্ত্রীর কথায়, বহু যুগ ধরে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র হিসেবে এই গ্রামটি পরিচিত। কিন্তু ময়ূরাক্ষীর ব্যবচ্ছেদে এলাকা কার্যত ভাগ হয়ে যাওয়ায় দু’পাড়ের অন্তত ৬০টি গ্রামের বাসিন্দারা যোগাযোগে উন্নতির জন্য কজওয়ের দাবি তুলছেন বহু বছর। যা তৈরি হলে পাঁচথুপির ব্যবসায়িক পরিধি ফের বেড়ে যাবে। কজওয়ের দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, কজওয়ের ব্যাপারে আমরা খুব চেষ্টা চালাচ্ছি। কান্দি মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ময়ূরাক্ষী নদীর সর্বেশ্বর ঘাট এলাকা আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শন করে নকশা তৈরি করছেন। প্রোজেক্ট রিপোর্ট-সহ সেই নকশা রাজ্য দফতরে পাঠানো হবে।

Latest article