প্রতিবেদন: আর মাত্র ৭২ ঘন্টা৷ তারপরেই দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট৷ পরিবর্তন বনাম প্রত্যাবর্তনের এই ভোটযুদ্ধে শেষ হাসি কোন দল হাসবে, সেই বিষয়ে গোটা দেশেই কৌতুহল তুঙ্গে৷ এই আবহেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্যের রিমোট থাকবে তাঁদের হাতেই৷ কেন তাঁরা এমন মনে করছেন, তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিয়ে বর্ষীয়ান আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বললেন, বিজেপির বিরুদ্ধে হরিয়ানার মানুষের ক্ষোভ প্রচুর৷ গত এক দশকে বিজেপি হরিয়ানার কোনও উন্নতি করেনি৷ শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেছে৷ একইরকমভাবে কংগ্রেস সম্পর্কেও হরিয়ানার ভোটারদের আপত্তি আছে৷ এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসের যোগ্য বিকল্প হিসেবে আম আদমি পার্টির উপরেই ভরসা করবেন হরিয়ানাবাসী, এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত৷
আরও পড়ুন-মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনেট নির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল এই দাবি জানালেও বিজেপি এবং কংগ্রেস কিন্ত্ত হাল ছাড়তে নারাজ৷ দুই শিবিরই নিজের মত করে ঘুঁটি সাজানোর চেষ্টা করছে৷ নিজেদের দলের দুই প্রভাবশালী নেতা-নেত্রী ভূপিন্দর হুডা এবং কুমারী শৈলজার মধ্যে আপাত সন্ধির একটা পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছেন রাহুল গান্ধী৷ কংগ্রেস সূত্রের দাবি, দলের ভিতরে যুযুধান দুই নেতা নেত্রীকে পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল৷ আগে দল, পরে গোষ্ঠী এই নীতি নিয়ে এগোতে হবে সবাইকে, রাহুল গান্ধীর এই নির্দেশের পরেই পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগা বন্ধ করেছেন কুমারী শৈলজা এবং ভূপিন্দর হুডা৷
আরও পড়ুন-মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বার চিকিৎসার ব্যয়ভার নিলেন অভিষেক
অন্যদিকে, নিজেদের দুর্বলতা শেষ মুহূর্তে ঢাকা দিতে আদাজল খেয়ে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু নিজেদের দলীয় কোন্দল কিছুতেই সামাল দিতে পারছে না তারা। একদিকে প্রবল বেকার সমস্যা, অন্যদিকে কৃষকদের বিতৃষ্ণা-প্রতিটি পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। প্রচারে বেরিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের। এর ওপর রয়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ঝড়ো হাওয়া। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যাবে তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না বিজেপির ভোটকুশলীরা।