মানুষখেকো হ্রদ

Must read

প্রতিবেদন : দ্য লেক অফ নো রিটার্ন। জনশ্রুতি, এখানে গেলে কেউ নাকি আর ফিরে আসে না। কী কারণে, কীভাবে হারিয়ে যায় তা অজানা। এর ধাঁধা অনেকটা বারমুডা ট্রাই-অ্যাঙ্গেলের মতোই।
এই হ্রদ অরুণাচলের সীমান্তে। বলা হয় পৃথিবীর অজানা ও অনাবিষ্কৃত রহস্যময় অঞ্চলগুলির একটি এই হ্রদ। ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এটিকে ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য। স্থানীয় মানুষের প্রচার, হ্রদের কাছাকাছি কেউ গেলে কিংবা এর জল স্পর্শ করলে সে আর ফিরে আসে না। বেমালুম অদৃশ্য হয়ে যায় সেই ব্যক্তি। এমনও জনশ্রুতি রয়েছে যে, আপনি দেখবেন আপনার সামনের মানুষটি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছু করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন-মুখ লুকোতে রিগিং তত্ত্ব সামনে আনল বিজেপি রাজ্য সভাপতির

পাংসাউ গ্রামের এই হ্রদ নিয়ে রহস্য প্রথম জনসমক্ষে আসে ১৯২৩ সালে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জাপানি বিমানের হামলা থেকে বাঁচবার জন্য ওই হ্রদের কাছেই জরুরি অবতরণ করেছি একটি মার্কিন ফাইটার জেট। মুহূর্তে তা ভ্যানিশ হয়ে যায়। অনেক খুঁজেও মেলেনি এর ধ্বংসাবশেষ বা কিছু। স্থানীয় কিছু সেনা এই ঘটনা নাকি সামনে থেকে দেখে। তাদের কথাই লোকমুখে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। পরবর্তী শিকার এক জাপানি যুদ্ধ বিমান। সেটি পথ ভুল করে এখানে নেমেছিল। হ্রদের জল স্পর্শ করেছিল জাপানি সেনাদল। তারপরেই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সব সেনার মৃত্যু।

আরও পড়ুন-বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে টপকে শ্রম পোর্টালে দুইয়ে বাংলা

প্রাচীন লোককথাও রয়েছে ওই গ্রামে। পাংসাউতে বাস টাঙ্গাস উপজাতির। তাদের পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, বহু বছর আগে ওই হ্রদ থেকে গ্রামবাসীরা একটি বিশাল মাছ শিকার করেন। এক মহিলা ও নাতনি বাদে গ্রামের সবাই মিলে খেয়েছিল সেই মাছ। হ্রদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী নাকি এটা মেনে নেননি। সবাই কেন তাঁর প্রসাদ সমান ভাবে পাবেন না? দেবীর রাগ গিয়ে পড়ে গ্রামের উপর। হ্রদের জল প্লাবিত করে গোটা গ্রামকে। মারা যায় সবাই। অভিশপ্ত হয়ে যায় সেই হ্রদ। তার পর থেকেই ওই হ্রদ স্থানীয়দের কাছে অচ্ছুৎ। জনশ্রুতি আর কল্পকথায় ঘেরা এই হ্রদ অবশ্য পর্যটকদের কাছে বিশেষ দ্রষ্টব্য।

Latest article