শহরজুড়ে জ্বলে উঠল দেড় লক্ষ্য প্রদীপ। শিল্পনগরীর ঝলমলে আলো গল্প বলল এক উদ্যমী মহিলার। বয়স তাঁর কাছে সংখ্যামাত্র। মানুষকে নতুন করে বাঁচতে শেখায় তাঁর উদ্যম, উৎসাহ। ৮৬ বছরের রাধারানি পাল। দুর্গাপুর বিজোনের বঙ্কিমের বাসিন্দা। প্রায় ৬৬ বছর আগে কলেজ পাশ করেছেন। লেখন কবিতা, নাটক। রবিবার দুর্গাপুর উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিনিই। সবার আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-ধান্দাবাজ গদ্দার কারে কয়, সে কি কেবলই শুভ ইন্দুর উদয়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুর্গাপুর উৎসবের সূচনা ছিল এদিন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রোটারির প্রতিটি কোণায় নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালালেন। এলাকার সমস্ত মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে দু’হাত তুলে ছন্দে ছন্দে পা মিলিয়ে পৌঁছে গেলেন উৎসব প্রাঙ্গনে। শরীরে নেই কোনও ক্লান্তির ছাপ। মনের জোর যেন ধরা দিচ্ছে তাঁর চোখে মুখে। বয়স যাঁদের ৫০-এর আশেপাশে হালকা ঠাণ্ডায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার হেঁটে কেউ বলছেন পায়ে ব্যথা, কেউ বলছেন শরীর চলছে না। রাধারানিদেবী তাঁদের কাছে সাহস, উদাহরণ।
আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া শরিকদের উপেক্ষার নীতিই ডোবাল কংগ্রেসকে, দক্ষিণেই হাতের শক্তি সীমিত
উৎসবের মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলছেন, ক্লান্তি? কেন? এখনও হাঁটতে হবে অনেকটা পথ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের এগিয়ে যেতে শিখিয়েছেন তাই থেমে থাকলে চলবে না। ৬ নম্বরওয়ার্ডের কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত বলেন, মাসিমা প্রত্যেক উৎসব অনুষ্ঠানে এগিয়ে আসেন। উনি আমাদের এলাকার অনুপ্রেরণা।