প্রতিবেদন: নেট-নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রথম দিনেই উত্তাল সংসদ। রীতিমতো ঝড় উঠল সংসদের ভেতরে-বাইরে। এতবড় কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ধর্মেন্দ্র প্রধানের শপথ নেওয়া কতটা লজ্জাজনক, তা মিলিতভাবে বুঝিয়ে দিলেন বিরোধীরা। সোমবার ১৮ তম লোকসভার প্রথম অধিবেশনে, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় বিরোধীরা নিট-নিট বলে চিৎকার করে ওঠেন। বিরোধী সদস্যদের মুখে শোনা যায় লজ্জা-লজ্জা ধ্বনিও। গত কয়েকদিন ধরেই নিট-নেট নিয়ে প্রতিবাদে উত্তাল সারাদেশ। পড়ুয়া-অভিভাবকরা তো বটেই, নিন্দায় মুখর শিক্ষামহল থেকে শুরু করে আমজনতাও। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তভার তুলে দিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। এরই মধ্যে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সংসদে প্রবেশ করার মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নজিরবিহীনভাবে ১৪ মিনিটের ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, একটা বাক্যও তিনি খরচ করেননি দেশের প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি নিয়ে। লোকসভার ভিতরে সোচ্চার ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। নিয়ম অনুযায়ী সোমবার, প্রথম দিন নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ ছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের নাম ঘোষণা হতেই লোকসভায় ‘নিট নিট, শেম, শেম’ স্লোগানে জর্জরিত হন তিনি। নিজের আসন ছেড়ে প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাবের আসনের পাশে যাওয়া পর্যন্ত বিরোধী বেঞ্চ থেকে লাগাতার নিট নিয়ে সরকারের অপদার্থতার জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়। ছুড়ে দেওয়া হয় কটাক্ষ।এবং এই অপদার্থতার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া যে লজ্জাজনক বিষয় তা বুঝিয়ে দেন বিরোধী সদস্যরা। বিরোধীদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এতবড় কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে পারেন না। নিট ও নেট-ইউজিসির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে তাঁকে।