বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল (Raju Paul) হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী উমেশ পালকে (Umesh Paul) খুনে অভিযুক্ত আরবাজকে গুলি করে দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ (Police) জানিয়েছে প্রয়াগরাজের ধুমনগঞ্জ এলাকার নেহরু পার্কে ওই অভিযুক্ত এনকাউন্টারে মারা যান। পুলিশের দাবি, আরবাজকে ধরতে গেলে পাল্টা গুলি চালান তিনি। সেই গুলিতে রাজেশ মৌর্য নামে এক পুলিশ ইনস্পেক্টর আহত হন।
আরও পড়ুন-আত্তীকরণ সূত্রে সমৃদ্ধি অর্জন
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ADG প্রশান্ত কুমার জানান, ‘‘উমেশের খুনে জড়িত ছিলেন আরবাজ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, তাঁকে ধরতে যায় পুলিশ। সেই সময় উল্টে গুলি চালান আরবাজ। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশও। জখম অবস্থায় আরবাজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।’’
আরও পড়ুন-ভারত সফরে আসছেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট
উত্তরপ্রদেশে ২০০৫-এ বহুজন সমাজ পার্টির (BSP) বিধায়ক রাজুকে খুন হন। অভিযোগ ওঠে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ পাল। বারবার তাঁক হুমকি দেওয়া হয়। আক্রান্তও হয়েছিলেন উমেশ। প্রশাসনের তরফে ২ জন পুলিশকর্মীকে উমেশের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযোগ, শুক্রবার দেহরক্ষীর সামনেই রাস্তায় উমেশকে খুন করেন আরবাজ এবং তাঁর সঙ্গীরা।
আরও পড়ুন-ইডেনে সৌরভ-রণবীর, ধন্দে বায়োপিক
সেই ঘটনায় আরবাজকে গ্রেফতার করতে যায় প্রয়াগরাজের পুলিশ। অভিযোগ, উল্টে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আরবাজ। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে মৃত্য হয় অভিযুক্ত। এর আগেও এনকাউন্টারে অভিযুক্তকে মারার অভিযোগ উঠেছে যোগীরাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর দোষ প্রমাণ হলে তাঁকে আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু দোষ প্রমাণের আগেই এভাবে এনকাউন্টারে অভিযুক্তকে মারলে তাঁর সঙ্গে অনেক তথ্য-প্রমাণও ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে। কিন্তু যে রাজ্যে সরকারই বুলডোজারের পক্ষে সেখানে পুলিশ যে এনকাউন্টারের পথ বেছে নেবে তাতে আর আশ্চর্য কী! মত রাজনৈতিক মহলের।