বৈঠকে অনুব্রত-প্রশাসন কাজ শুরু হল দেউচায়

দেউচা-পাঁচামিতে চক্রান্ত করেও ফের ব্যর্থ হল স্বার্থান্বেষীরা। পিছন থেকে উসকানি দিয়ে সেখানে মানুষকে তাতানোর ছক করা হয়েছিল।

Must read

প্রতিবেদন : দেউচা-পাঁচামিতে চক্রান্ত করেও ফের ব্যর্থ হল স্বার্থান্বেষীরা। পিছন থেকে উসকানি দিয়ে সেখানে মানুষকে তাতানোর ছক করা হয়েছিল। তা ভেস্তে দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। ময়দানে নেমেছেন রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আর তাতেই কাজ হল। পুনরায় দেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্পের কাজ শুরু হয়ে গেল। নিরীহ আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্প অঞ্চলের সাধারণ মানুষ জানিয়ে দিল আর তারা কোনওভাবেই ষড়যন্ত্রের শিকার হবে না। কয়লা শিল্প বাস্তবায়িত করতে এলাকার মানুষ সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে। বিজেপির ধাপ্পাবাজি এবং সিপিএমের অপপ্রচার রুখতে এবার এলাকার মানুষই এগিয়ে আসবে, এমনটাই বলছেন এলাকার মাঝি বাবা রবি টুডু।

আরও পড়ুন-ঝাড়গ্রামে আবারও হাতির তাণ্ডব, সতর্ক বন দফতর

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে বিধানসভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্প গড়ে উঠবে রাজ্যে এবং সেটা বীরভূমের মাটিতে, সেদিন থেকেই গদ্দার অধিকারী শূন্য বামেদের সঙ্গী করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল কয়লা শিল্পের ভবিষ্যৎ বানচাল করার জন্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার কাছে সেবারেও হার মেনেছিল গদ্দার। বেশ কিছুদিন চুপ থাকার পরে আবার পেছন থেকে উসকানি এবং টাকার প্রলোভন দেখিয়ে খনি অঞ্চলের কিছু মানুষকে খেপিয়ে তোলে। পরিষ্কার তাদেরকে বলা হয়, যেভাবেই হোক এই কয়লা শিল্প বানচাল করতে হবে। তাতে যদি নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরাতে হয় সেখান থেকেও যেন পিছপা না হয়। সূত্র মারফত এই খবর জেলা প্রশাসনের কাছে আসার পরেই তৎপরতার সঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, এসআরডিএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, বীরভূমে পুলিশ সুপার শ্রী আমনদীপ পরিকল্পনা বদল করে প্ল্যান বি অ্যাকটিভ করেন। আর তাতেই মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি এবং সিপিএমের ষড়যন্ত্র। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্রী আমনদীপ ও ডিএসপি ডিএনটি অয়ন সাধু যখন খনি অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে বোঝাতে ব্যস্ত তখন অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল, জেলাশাসক বিধান রায়, খনি অঞ্চলের মহিলাদের সঙ্গে মহম্মদবাজার ব্লকে বৈঠক করে সমস্যার কথা শোনেন। এই দ্বিমুখী চালেই কুপোকাত শুভেন্দু-সুজনের চক্রান্ত।

আরও পড়ুন-পরিসংখ্যান কোথায়? মঙ্গলবার ফের কমিশনে তৃণমূল

দেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্প অঞ্চলের প্রবীণ বাসিন্দা রবি মুর্মু জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী সমাজের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই এলাকার মানুষের যেমন উন্নয়ন হবে ঠিক সেই ভাবে কয়লা শিল্প গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের আগামী প্রজন্ম ব্যাপক উপকৃত হবে। তাই কয়লা শিল্পের পক্ষেই আমাদের রায়। সুমিতা টুডু বলেন, আমরা চাই কয়লা শিল্প হোক। মমতা দিদি আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রচুর ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়েছেন। আমরা আর এইভাবে গরিব হয়ে থাকতে চাই না। আমরা চাই আদিবাসী সমাজের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষিত হয়ে সরকারি চাকরি করুক। কয়লা শিল্প হলে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, দেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্প কেবলমাত্র বীরভূম নয়, রাজ্যের মানুষের আর্থিক, সামাজিক মানোন্নয়নের পরিবর্তন ঘটবে। খনি অঞ্চলের মানুষ উৎসাহের সাথে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই কয়লা শিল্পকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে কয়লা উত্তোলন স্বচক্ষে দেখার জন্য। বর্তমানে কয়লা উত্তোলনের কাজের অগ্রগতি দারুণ ভাবে এগোচ্ছে।

Latest article