প্রতিবেদন : যতই ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করুক বিজেপি, মাথা নত করবে না বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বাংলার মানুষ বিজেপিকে বিদায় করবে। আর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই লড়াইয়ে পথ দেখাবে বাংলার ছাত্র-যুবরা। বৃহস্পতিবার বেহালায় কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী মালা রায়ের সমর্থনে ছাত্র-যুব সমাবেশ থেকে এই বার্তাই দিলেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সভায় উপস্থিত ছাত্র-যুবদের সামনে রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই সরকারের মধ্যে ৫০০ টাকার পার্থক্য তুলে ধরেন। বলেন, মোদি সরকার রান্নার গ্যাসের দামে ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। এই তফাতটা মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
আরও পড়ুন-বহিরাগতদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে না পুরুলিয়া, এবার তৃণমূলের ফল ভাল হবে
এদিনের সভায় প্রার্থী মালা রায়, ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দেবাশিস কুমার, তারক সিং, মণীষ গুপ্ত, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ স্থানীয় কাউন্সিলররা। সভায় ছাত্র-যুবদের স্বৈরাচারী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, বিজেপির মতো আমাদের মিডিয়া চ্যানেল কেনার ক্ষমতা নেই, কিন্তু আমাদের কাছে ছাত্র-যুব বাহিনী আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নিজের এলাকায় মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বলেই বাংলা সুরক্ষিত আছে। আর তৃণমূল ছিল বলেই বাংলার উন্নয়ন হয়েছে, নাহলে বাংলাতেও হাথরস হত। প্রার্থী মালা রায় বলেন, বিরোধীদের পেশি শক্তি আছে, অপপ্রচার আছে, অনেক টাকা আছে, মিডিয়া আছে, ভয় দেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি আছে। কিন্তু আমাদের ছাত্র-যুবদের বাহিনী আছে। এই ছাত্র-যুবরাই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করে বুথ আগলে রেখে নির্বাচন পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন-প্রার্থী অরূপের হয়ে প্রচারে ঝাঁপাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
বিজেপি-সিপিএমের অন্যায় ও কংগ্রেসের অপদার্থতার প্রতিবাদে ছাত্র-যুবদের পথে নামার ডাক দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, উন্নয়নের ঝড় উঠেছে রাজ্যে। গরিব মানুষকে ভরিয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৯ লক্ষ মানুষকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই বাংলা থেকে যত বেশি সংখ্যক সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিন, যাতে এবছর ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা তুলে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এখন দেশের বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম গ্রহণযোগ্য মুখ। এমন সমীকরণে ভোট হবে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। ২০০-এর আগেই আটকে যাবে।