প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে এলেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কথা বললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে, আশ্বাস দিলেন সবরকমভাবে পাশে থাকবার।
একনাগাড়ে পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টি, তাতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয় তিস্তা নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের। পাহাড়ে অতি-ভারী বৃষ্টির জল তিস্তা নদী হয়েই নেমে আসে সমতলে, সেই জলে প্লাবিত হয় বহু জনবসতি। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ব্লকের টোটগাঁও এলাকায় জল ঢুকলে পরিবার-সহ আশ্রয় নিতে হয় রাজ্য সরকারের ত্রাণশিবিরে। অন্যদিকে, মাল বাজারে লিস নদীর বাঁধ ভাঙলেও প্রশাসন তৎপর হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য করে দেয় বাঁধের কাজ। একইভাবে তিস্তার জলে বানভাসি হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ধর্মপুর গ্রামে। মূলত ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারঘরিয়া এলাকার ১০৫ নম্বর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা-পরিস্থিতির। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- চাকরিহারাদের কথা শুনবেন প্রধান বিচারপতি, জারি নোটিশ
আজ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন এবং দ্রুততার সাথে সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন। মন্ত্রীর সাথে ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা, সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এবং ও ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বন্যার জল নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং এলাকাবাসীদের দুর্দশা লাঘবের জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত মেরামতের কথাও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অতি-ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরের তিন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি অন্যতম। বর্ষা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সবরকম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।