প্রতিবেদন : ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর মেলায় এই প্রথম হতে চলেছে আদিবাসী ফ্যাশন শো। আর সেই চমকদার শোয়ে অন্যদের সঙ্গে অংশ নিতে চলেছেন খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হয় বিষ্ণুপুর মেলা। এবার ৩৭তম মেলা হবে বিষ্ণুপুর হাইস্কুল ও কেজি কলেজের মোট তিনটি মাঠে। থাকবে দুশোর বেশি স্টল। এই মেলারই দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য আদিবাসী ফ্যাশন শোয়ে অংশ নেবেন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে ৪০ জন আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা থাকছেন এই শোতে। থাকছেন আরও ২০ জন মডেল।
আরও পড়ুন-জামালপুরের সব সমবায় এসে গেল তৃণমূলের হাতে
আদিবাসীদের শাড়ি, গামছার পাশাপাশি তাঁদের পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছয় ধরনের পোশাক তৈরি করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজাইনার বিকাশ কুম্ভকার। ১০ জনের এক-একটি দলের জন্য একই ধরনের পোশাক থাকবে। ৬০ জন মডেলের মধ্যেই থাকছেন মন্ত্রী। মেলা কমিটির সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিষ্ণুপুর মেলায় হস্তশিল্পের পাশাপাশি আদিবাসী সংস্কৃতির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আদিবাসীদের চিরায়ত পোশাককে গুরুত্ব দিতে ব্যবস্থা হয়েছে আদিবাসী ফ্যাশন শোয়ের। মেলায় আসা দর্শকরা জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে পরিচিত হবেন ফ্যাশন শোয়ের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত জানুয়ারি মাসে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর মেলায় এই ধরনের ফ্যাশন শোয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে প্রথমবার অংশ নেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।