রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : যে রক্ষক সেই ভক্ষক! সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ফাঁসিদেওয়া। বিএসএফের প্রতিনিয়ত তল্লাশিতে জেরবার গ্রামবাসীরা। সীমান্তের ওপারে নিজেদের জমিতে চাষ করতে গেলেও তাঁদের কঠিন জেরার মুখে পড়তে হয়। অথচ ওই সীমান্ত পেরিয়েই নির্বিচারে বাংলাদেশ থেকে ঢুকছে অনুপ্রবেশকারীরা। লুঠপাঠ চালানো হচ্ছে গ্রামে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকিও। এই অত্যাচারে রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। লুঠপাট, অত্যাচারের ঘটনা বলতে গিয়ে গলা শুকিয়ে এল ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা ইসমাইলের।
আরও পড়ুন-পুরভোটের আগেই উন্নয়নের রূপরেখা
সীমান্তের মাঝে বয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীর কাঁটাতারের এপ্রান্তই ফতেপুর। সেই অঞ্চলে কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার পর থেকেই সন্দেহভাজন চার-পাঁচজনের বাংলাদেশি গ্যাং নানাভাবে গ্রামবাসীকে জালে ফেলার চেষ্টা করে। জমির ফসল, গবাদি পশুর খামার সংলগ্ন এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তাদের। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় একজোট হয়ে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী গ্যাংয়ের পিছু নেয়। তাদের কয়েকজনের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্রও।
আরও পড়ুন-শিয়ালহানায় আহত পাঁচ
গ্রামবাসিন্দারা পিছু নিতেই ফসলের জমির ওপর দিয়ে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বিএসএফের মদতে সোজা কাঁটাতার পেরিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বিএসএফের হাত থেকে বাঁচিয়ে গ্যাংয়ের এক যুবককে পাকড়াও করে পুলিশের আওতাধীন এলাকায় নিয়ে আসে স্থানীয়রা। লালদাস থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা অনুপ্রবেশকারী গ্যাংয়ের সদস্য বছর ১৯-এর আশরফ আলির কাছে মেলা মোবাইল ঘেঁটে পুলিশের নজরে উঠে আসছে বিএসএফের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিগত দু’তিন মাস সময়ে ৫-৬ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।