প্রতিবেদন : ছোটবেলায় স্কুলে যেতে ইচ্ছে করত না। কিন্তু সেই ছেলেই আজ গোটা ভারতের গর্ব। ভারতের দ্বিতীয় মহাকাশচারী, শুভাংশু শুক্লা। বুধবার কলকাতায় পা রেখে ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অনুষ্ঠানে প্রথম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন যাত্রার রূপকথার কাহিনি শোনালেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)। শুনলেন কচি-কাঁচাদের হাজারও প্রশ্ন। ভারতের ‘সোনার ছেলে’ আক্ষেপের সুরে বললেন, মহাকাশ গবেষণায় দেশের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। কিন্তু ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় বদল দরকার। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও ততটা আধুনিক নয়। শুভাংশুর কথায়, আরও প্রয়োগ-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা এতটাই নীরস এবং একঘেয়ে যে আমারও ছোটবেলায় স্কুলে যেতে ইচ্ছে করত না।
চলতি বছরের আর্ন্তজাতিক স্পেস স্টেশনে টানা ১৮ দিন কাটিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। বুধবার একদিনের জন্য কলকাতা সফরে এসে তিনি ঘুরে দেখলেন ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের মিউজিয়াম। শহরের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শোনালেন নিজের মহাকাশ অভিজ্ঞতার কথা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে থাকার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিলেন। তিলোত্তমা সফর নিয়ে বললেন, কলকাতায় পা রেখেই বুঝেছি এটা ভালবাসার শহর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সোনার ছেলে শুভাংশুর মুখে নিখাদ বাংলায় ‘আমি এখানে এসে অত্যন্ত খুশি’ শুনে হাততালিতে ফেটে পড়ে অডিটোরিয়াম।
আরও পড়ুন-ইন্ডিগো বিভ্রাট, ভুক্তভোগী যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের
শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, মহাকাশ থেকে দূরের পৃথিবীর মধ্যে ভারতকে দেখলে বোঝা যায়, সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা! মহাকাশে গেলে কোনও জাতি, ধর্ম, রাজ্য, দেশের মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখা মুশকিল। তখন গোটা গ্রহটার সঙ্গেই অদ্ভুত একটা একাত্ম অনুভূত হয়। ছোটদের জন্য শুভাংশুর বার্তা, আরও স্বপ্ন দেখো। মনে রেখো, স্কাই ইজ নট দ্য লিমিট!

