চলতি বছরেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক অধ্যাপক আত্মহত্যা করেছিলেন। এবার ভিনরাজ্যে গিয়ে মৃত্যু হল আরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) এক অধ্যাপকের। উত্তরাখন্ডের (Uttarakhand) একটি হোটেলের দরজা ভেঙে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা সেই নিয়ে তদন্তে নেমেছে উত্তরাখণ্ড থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত অধ্যাপকের নাম মৈনাক পাল। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার দিন আলমোড়ার একটি হোটেলের দরজা ভেঙে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে,আত্মহত্যা করেছেন অধ্যাপক। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। যদিও পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে মৈনাকবাবু আত্মহত্যার করতে পারেন না। দুই বন্ধুর সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন মৈনাক পাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ৪৪। ৩জন গেলেও ফেরার সময় অবশ্য তিনি একাই ছিলেন। লালকুয়াঁয় একটি হোটেলে উঠেছিলেন তিনি। শনিবার সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন-গ্রেগকে ছাড়াই আজ পরীক্ষা দিমিত্রিদের
সূত্রের খবর, মৈনাক পাল খুব ঠাণ্ডা মাথার ভদ্র ছেলে। উনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। মৈনাক পালের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর সহকর্মীরা। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা এই মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। বাড়িতে স্ত্রী এবং কন্যা রয়েছেন। পরিবারের তরফে শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন তুলছিলেন না। ডেকে সাড়া না পেয়ে হোটেলের কর্মীরা ঘরে গিয়ে দরজা ভাঙেন। শৌচালয়ে অধ্যাপকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। তাঁর হাত এবং গলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হলেও তাঁর দেহ কলকাতায় ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মৃতের বাবা উত্তরাখণ্ডে দেহ আনতে গিয়েছিলেন। তাঁর হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবারই কলকাতায় পৌঁছবেন তিনি।